ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এর স্বামী খন্দকার মাসরুর হোসাইন মিতু তার স্ত্রী পুতুল সহ কানাডা থাকাকালীন ২০১২ সালে অর্থ পাচারের অভিযোগে মাসরুরের কানাডিয়ান পাসপোর্ট বাতিল হয়।
অতঃপর তিনি কানাডা থেকে পালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস শুরু করেন। বাংলাদেশ থেকে লুট করা টাকায় আবুধাবীর জাহিদ সিটিতে একটি আলিশান প্যালেস কিনে বাস করতে থাকেন। অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা কিছুদিন পর পর এখানেই দেখতে যান তার মেয়ের সংসার। উল্লেখ্য এই মাসরুর মিতু ফরিদপুরের কুখ্যাত নুরু রাজাকারের নাতি এবং বর্তমানে অবৈধ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ইন্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের পূত্র।
কানাডা থেকে আসার পর মাসরুর মিতু শারজাহ শহরের বুহাইরা এলাকায় আল নাসির-৫ টাওয়ারে ৩০১৩ নম্বর এপার্টমেন্ট কিনে অফিস-কাম-বাসা তৈরি করে বাংলাদেশ থেকে শ্বাশুড়ি শেখ হাসিনা ও পুতুলের কমিশন আদায় করে, এমনকি নগদ ডলারের সুটকেসও আনা নেয়া করে। ঐ সব অর্থ ব্যাংকে রাখা, বিনিয়োগ করা, এবং বিভিন্ন জনের সাথে অর্থ আদান প্রদান ও হুন্ডির মূল হোতা সহ বিভিন্ন অবৈধ কাজ করে থাকেন মিতু।
এরই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগে হঠাৎ কাতার থেকে সাড়ে ৪ কোটি দিরহাম (যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০০ কোটি টাকা) অর্থ এডিসিবি ব্যাংকে জমা হয় মিতুর ব্যক্তিগত একাউন্টে। কাতার থেকে এত মোটা অংকের অর্থ লেনদেনের হিসাব দেখে আরব আমিরাত নড়েচড়ে বসে- মানি লন্ডারিং ইউনিটকে কাজে নামানো হয়। কারণ সাম্প্রতিক কাতারের সাথে আরব আমিরাতের সকল সম্পর্ক ছিন্ন, সকল প্রকার চুক্তি বাতিল করে আরব আমিরাত।
শারজার পুলিশ মিতুর সন্দেহজনক লেনদেন নিয়ে তদন্ত শুরু করে, এবং প্রথমে মিতুর পাসপোর্ট জব্দ করে। গত শনিবার মিতুর শারজাহের ফ্লাটে তল্লাশি চালায় (আল নাসির প্লাজা রুম নং: ৩০১৩)। তল্লাশির সময় মিতু উপস্থিত ছিলেন না। কেবল তার কেয়ারটেকার মোঃ শফি ছিলেন। শফির বাড়ি ফরিদপুর জেলা সদরপুর থানায়। তল্লাশির সময় বাসা থেকে যা উদ্ধার হয়:
১. পাঁচটি ল্যাপটপ,
২. একটি ম্যাক পিসি,
৩. তিনটি আইপ্যাড,
৪. ৯টি মোবাইল ফোন ও ১৭টি সিমকার্ড,
৫. বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১২৭ পিস মদের বোতল ও
৬. ৪৮ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করে।
তাৎক্ষণিকভাবে ঐ ফ্লাট থেকে কেয়ারটেকার মোঃ শফিকে আটক করে, এবং মিতুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে আবুধাবির মোহাম্মদ বিন জাহিদ সিটি নিজ বাসভবন থেকে পুলিশ মিতুকে আটক করে এবং পরে শারজাহে বুহাইরা পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসে। খবরে জানা যায় আওয়ামী লীগ সরকারের আবুধাবীর রাষ্ট্রদূত ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের লোকজনে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে যায়। অবশেষে আজ রাতে ৪ জনের ব্যক্তিগত বন্ড (একটি ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট ও তিনটি সাধারণ পাসপোর্ট) জমা দিয়ে “মিতু আরব আমিরাত থেকে পালিয়ে যাবে না” এমন জিম্মাদারী রেখে প্রাথমিক ভাবে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। তার আইনজীবি হিসাবে মামলা পরিচালনায় ছিলেন এডভোকেট Abdelaziz Al Zaabi, ফোন নম্বর: +971554852340.
তবে কেয়ারটেকার মোঃ শফি মুক্ত হতে পারেনি, কারণ তার ভিসা Al Sarh Al Areq Construction L.L.C কোম্পানির, যার মালিক হলো মিশরীয়। ঘটনায় শফির যোগসূত্রতা কতটুকু এবং নির্দোষ কি না, তা নিয়ে সন্দেহমুক্ত না হওয়ায় আল শারাহ কোম্পানী তার দায়িত্ব নেয়নি। ফলে শফিকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
তবে পাসপোর্ট জিম্মাদারিতে মিতু জামিনে বের হলেও বিচার কার্যক্রম চলতে থাকবে আইন অনুযায়ী। শারজাহ পুলিশ সুত্রে তার একটি সুইস ব্যাংকের একাউন্ট সম্বন্ধে জানা গেছে, যাতে বর্তমানে ৬৮০ মিলিয়ন ইউরো জমা রয়েছে:
একাউন্ট নম্বর: 012840BSB034705,
একাউন্ট কোডিং নম্বর: MT104, MT910, MT103/202.
U.S Public Law 106-229, (Electronic commerce agreement (ECE/TRADE/257), (European Community Directive No: 95/46/EEC.
প্রশ্ন হলো রাজাকারের এই নাতি এতো টাকা পেলো কোত্থেকে? বাংলাদেশের জনগনের টাকা কি এভাবেই লুট করে নিয়ে যাবে এরা????