ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ হাসিনা সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাঁর হাতে যত দামি ঘড়ি এবং পরনে যত দামি পোশাক দেখা যায়, তার সবই আওয়ামী লীগ কর্মীদের ‘উপহার’। এর কোনোটাই তাঁর নিজের পয়সায় কেনা নয়। ঠিকাদারদের কাছ থেকেও তিনি কখনো কোনো টাকা নেননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সুইডেনভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল ‘নেত্র নিউজ’-এ গত ২৭ ডিসেম্বর ওবায়দুল কাদেরের পরনে থাকা ঘড়ি নিয়ে ‘মন্ত্রী কাদেরের ঘড়ির গোলমাল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে ওবায়দুল কাদেরের ঘড়ি পরা সাতটি ছবি দিয়ে এগুলোর ব্র্যান্ড ও দাম উল্লেখ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ থেকে ওই পোর্টাল দেখা যাচ্ছে না।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, এটা বাংলাদেশের মানুষের বাক্স্বাধীনতার ওপর হামলা। এতে অভিযোগ করা হয়, ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে অনলাইনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল এক সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরকে বলেন, ‘আপনি একজন কেতাদুরস্ত মানুষ, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘড়ি ব্যবহার করেন।’ সুইডেনভিত্তিক অনলাইনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ওই সাংবাদিক বলেন, নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তথ্য ও বার্ষিক আয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যয়বহুল ঘড়িগুলোর ব্যবহার অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
ওবায়দুল কাদের ওই সাংবাদিককে থামিয়ে বলেন, ‘আমার যত ঘড়ি আছে, একটাও আমার নিজের পয়সা দিয়ে কেনা না। “ফর গড সেক” বলছি, এগুলো আমার কেনা না। আমি পাই। হয়তো আমাকে অনেকে ভালোবাসে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেক কর্মী বিদেশে আছেন। তাঁরা আসার সময় এগুলো নিয়ে আসেন। গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে একজন তিনটা কোটি নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে তাঁরা উপহার দেন। আমি কী করব?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, কোনো ঠিকাদারের কাছ থেকে কিছু নেননি। তিনি বলেন, ‘কনট্রাক্টররা ইলেকশনের সময় একটা অ্যামাউন্ট দিতে চেয়েছিল। আমি সরাসরি না করে দিয়েছি। আমাকে আমার ইলেকশনের টাকা প্রাইম মিনিস্টার নিজে দিয়েছেন।’ সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ঘড়ির বিষয়ে জবাব দিলেও নেত্র নিউজ দেশে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি।