DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

আরব আমিরাত সফরে শেখ হাসিনাঃ বাংলাদেশী রাষ্ট্রদুত স্বাগত জানালেন।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে বিকাল ৫ট ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

তবে তার এই সফর যে রাষ্ট্রীয় সফর নয় তা নিশ্চিত,কারন শেখ হাসিনাকে আবুধাবী বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন ঐদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।

 

স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। ৩ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের ৯টি দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক’ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।

আগামী বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর এবং নানা ইস্যুতে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম।

প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।

 

কেবিনেট সচিব, ৩ বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, কূটনৈতিক কোরের ডিন এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোটর শোভাযাত্রাসহ প্রধানমন্ত্রীকে দুবাইয়ের শাংরি-লা হোটেলে নেয়া হবে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ক্রাউন প্রিন্স শেখ মুহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর এই আবুধাবি সফর। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০-৪০ হাজার মানুষের আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা ছাড়াও নানা দেশের মন্ত্রীরা অংশ নেবেন। এবারের আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইকের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন, পানি, অভিগমন, মহাশূন্য, জৈবপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে কারিগরি জ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাব এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত স্বাস্থ্য, খাদ্য, জ্বালানি, পানি ও শিক্ষাক্ষেত্রে উদ্ভাবনী এবং অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী প্রয়াসের জন্য ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড’ দিচ্ছে। এ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ৭৬ জনকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

আবদুল মোমেন বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাখতুম, আবুধাবির ক্রাউন প্রিন্স শেখ মুহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থপতি প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতির স্ত্রী শেখ ফাতিমা বিনতে মুবারকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সফরকালে ১৩ জানুয়ারি পশ্চিম এশিয়ার বাহরাইন, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লেবানন, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতদের অংশগ্রহণে ‘রাষ্ট্রদূত সম্মেলন’ হবে।

সম্মেলনে রাষ্ট্রদূতরা মিশনগুলোর প্রাধিকারভুক্ত কার্যাবলি, কর্মপরিকল্পনা- বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন, অর্থনৈতিক কূটনীতি, মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বৃদ্ধি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, অভিবাসন, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে আন্তঃসংস্থা সহযোগিতা উন্নয়ন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণসহ বিবিধ বিষয়ে উপস্থাপন করবেন।

সম্মেলনে রাষ্ট্রদূতরা সংশ্লিষ্ট দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ এবং বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বিদ্যমান বাধা-বিপত্তির ব্যাপারেও অবহিত করার সুযোগ পাবেন। ‘রাষ্ট্রদূতরাও যথাযথ দিকনির্দেশনা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা চাই। এটি আমাদের জন্য অসুবিধাজনক হবে। আমরা মনে করি যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়।

মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলব তারা যেন সজাগ থাকেন। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে মিশনের কার্যাবলি, কর্মপরিকল্পনা, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতাবার্ষিকী উদযাপন, অর্থনীতি, কূটনীতি, মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যসহ অন্যান্য বিষয় বাধা-বিপত্তিগুলো উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন রাষ্ট্রদূতরা।

সীমান্ত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যতে নামিয়ে আনতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। তারা এ হত্যাকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপও নিয়েছে। তবুও হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!