ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কানাডায় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে আত্মগোপন করেছেন স্ক্র্যাপ (জাহাজ ভাঙা) ব্যবসায়ী গাজী বেলায়েত হোসেন মিঠু ওরফে জিবি হোসেন। দৈনিক প্রথম বাংলাদেশে গত ১৪ জানুয়ারি ‘বেসিক ব্যাংকের ৩০০কোটি টাকা আত্মসাৎকারী মিঠু-নাহিদ দম্পতির কানাডায় বিলাসী জীবন,’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর দেশ-বিদেশে ব্যপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও প্রতিবেদনটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার দিনই বেলায়েত কানাডার টরন্টোতে ড্যানফোর্থ অ্যাভিনিউতে তার মালিকানাধীন অভিজাত কলাপাতা রেস্টুরেন্ট, ফ্যাশন হাউজ ভাসাবি’স নাহিদ কালেকশন ও ৯১, হিলক্রেস্ট স্কারবোরোর বাড়িতে তালা দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপন করেন। কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি কয়েকজন দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, ওই সংবাদ প্রকাশের পর বেলায়েতকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটির কোথাও দেখা যায়নি। তার প্রতিষ্ঠানগুলোতে তালা দেওয়া। সামনের নোটিসে ক্লোজড সাইনবোর্ড ঝোলানো। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর বেলায়েতের বিরুদ্ধে ড্যানফোর্থের মিজান কমপ্লেক্সে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এছাড়াও দুর্নীতিবিরোধী প্রতিবাদী গানেরও আয়োজন করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
দৈনিক প্রথম বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঋণের নামে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক থেকে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়েছেন বেলায়েত। তিনি বর্তমানে টরন্টোতে থাকেন। মাঝখানে একবার বাংলাদেশে যাওয়ার পর দুদক তার বিদেশযাত্রায় স্থগিতাদেশ দেয়। এরপরও তিনি পুনরায় কানাডায় চলে আসেন। প্রায় নিয়মিত কলকাতায় গিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য তদারকি করেন।
পরবর্তিতে এই পত্রিকা অবৈধ অর্থে কেনা কানাডায় বেলায়েত মিঠুর সম্পদের খোজে আরেকটি অনুসন্ধানী প্রতিবদন প্রকাশ করে।তাতে জানা যায়, বেলায়েত মিঠু টরেন্টোতে ৮-১০টি পেট্রলপাম্পের মালিক। সেখানে কলাপাতা নামে তার একটি অভিজাত রেস্টুরেন্ট রয়েছে। ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ডাউন পেমেন্ট দিয়ে টরন্টোর ৯১, হিলক্রেস্ট স্কারবোরোতে আলিশান এক প্রাসান কিনেন,যার বাজার মুল্য ১৬মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ১০০কোটির টাারও বেশী।