মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফইউ) বহুল আলোচিত প্রশান্ত কুমার ‘পি কে’ হালদারের অর্থনৈতিক দুর্নীতি নিয়ে যে বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করে, তাতে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৩৫০০ কোটি টাকা বা কানাডীয় ৫৪০ মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির চিত্রটি উন্মোচিত হয়। তাতে তিনি গা ঢাকা দিলে তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে খবর বেরোয়।
এতে এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রশান্ত কুমারের সঙ্গে কানাডার যোগসূত্র সাড়ে ৫ বছরের উপরে। তিনি অপর দুই পরিচালক যথাক্রমে প্রীতিশ কুমার হালদার ও সুস্মিতা সাহা মিলে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই পি অ্যান্ড এল হাল হোল্ডিং ইনকর্পোরেটেড নামে একটি কানাডীয় কর্পোরেশন (ফাইল নম্বর: ৮৯৪২৯১৯) ১৬ ডিনক্রেস্ট রোড, টরন্টো, অন্টারিও এম৯বি ৫ডব্লিউ৪, কানাডা ঠিকানায় খোলেন। পরবর্তীতে প্রীতিশ কানাডার এই ঠিকানাটি ব্যবহার করে প্রিয়সী সাহার সহযোগে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর কম্পিউটার সম্পর্কিত কার্যক্রমের ভিত্তিতে হালট্রিপ টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড (কর্পোরেশন আইডেন্টিফিকেশন নম্বর: ইউ৭২৫০১ডব্লিউবি২০১৮পিটিসি২২৮১৯২ এবং রেজিষ্ট্রেশন নম্বর: ২২৮১২) ৪এফআর, এফএল-৪ই, ১৮ মহাজাতি রোড, এলপি-১০০/২৬, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ৭০০০৭৯, ভারত ঠিকানায় খোলেন। যদিও সেখানে প্রিয়সীর নিজস্ব ঠিকানাটি হচ্ছে: কে এন রায় লেন, কৃষনগর-১, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ ৭৪১১০১, ভারত।