দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ কানাডার মন্ট্রিয়লে ২০০৮ সালে কনজারভাটিভ পার্টি মনোনীত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অ্যাকাউনটেন্ট মোস্তাক সরকার দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে একদা এমপি নির্বাচনে হেরেছেন। মোস্তাক মাত্র ৩,২৬২ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়ে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হন, পক্ষান্তরে প্রথমবারের মতো ট্রুডো ১৭,৭২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। বাস্তবে তার পরাজয়ের সূচনা ২০০০ সালে, যখন তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম প্রতিযোগী হন এবং মাত্র ৭৩৮ ভোট পেয়ে অষ্টম হন। এরপর ২০০৪ ও ২০০৬ সালে পর্যায়ক্রমিক কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসেবে ১,৯৬১ ও ৩,৬৩০ ভোট পেয়ে যথাক্রমে চতুর্থ ও তৃতীয় হন।
পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২৩ জুলাই ৩-৫২৪ রুয়ি জ্যঁতালন ও, মন্ট্রিয়ল, ক্যুইবেক এইচ৩এন ১আর৫, কানাডা ঠিকানায় মোস্তাক সরকার রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা নির্ভর কোম্পানি হিসেবে রুনা কর্পোরেশন রেজিষ্টার দেস এন্টাপ্রাইসেস ক্যুইবেক-এর নিবন্ধনভুক্ত করেন। যার পরিচিতি নম্বর: ১১৬৮৪২০১৬৫ ও ৯২৬৬-৫৫৫৩ ক্যুইবেক, ইনক্ এবং তাতে আতিকুল আলম চৌধুরী, আব্দুস সামাদ ও সাহানা ফেরদৌস সহযোগী হিসেবে যোগ দেন এবং নিজে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অবধি দায়িত্ব পালন করেন। ইতিমধ্যে প্রশান্ত কুমার হালদার কোম্পানিটিতে যোগ দেন, যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা অর্থাৎ কানাডিয়ান ৫৪০ মিলিয়ন ডলার অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের ভিত্তিতে দেশের হাই কোর্ট তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আদেশ দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক তথ্যে দৃশ্যমান যে, আরএম #১০ ইস্টার্ন ট্রেড সেন্টার, জিপিও, পুরানা পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ ঠিকানাটি ব্যবহার করে প্রশান্ত হালদার কোম্পানিটিতে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ ও বর্হিবিশ্বের পত্রিকায় প্রশান্তসহ অন্যদের অর্থপাচার সংক্রান্ত ধারাবাহিক নিবন্ধ প্রকাশ পেয়েছে এবং টরন্টোয় কয়েক শত প্রবাসী ওই সকল দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তির আইনগত বহিস্কার দাবি করেছে, এতে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ও তার আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কী কিছু করবে?
সূত্রঃ আমাদের অর্থনীতি