ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গত ১লা ফেব্রুয়ারী ২০২০ অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নজীরবিহীন অনিয়ম ও কারচুপির কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে কানাডা বিএনপি একটি বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয় বাংলাদেশের গনতন্ত্রকে হত্যার পিছনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার কালো হাত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গনতন্ত্র গলা টিপে হত্যা করেছে দাবী করে বলা হয়, ঢাকা সিটি নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এক আশার মুখ দেখেছিলো, কিন্তু অবৈধ আওয়ামী সরকার, এবং তাদের নির্বাচন কমিশন তা হতে দেয়নি।
ইভিএম নিয়ে বিতর্ক এমন জায়গায় এসেছে যে, জনগণ ভোটও দিতে যাচ্ছে না,। সত্যি কথা বলতে কী, ইভিএম মানুষের মনে এমন একটা প্রশ্ন রেখেছে যে মানুষ আজকে ভোট দিতেও যাচ্ছে না,। কারণ পুরো নির্বাচনব্যবস্থার ওপর অনাস্থা সৃষ্টি করার জন্য ইভিএমের অনেক বড় ভূমিকা,। সেটা আজ প্রমাণিতও হয়েছে।’ ভোট কেন্দ্র দখল,।ইভিএমে ক্রটি এবং ইভিএমের মাধ্যমে জালিয়াতি,।প্রার্থী ও এজেন্টদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করা,। এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া এবং যারা কেন্দ্রের ভিতরে ছিল তাদের উপর হামলা ও নির্যাতন করে বের করে দেয়া। কেন্দ্রের ভিতরে আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর ভোটারদের ভোট দিতে না দেয়া,। অর্থাৎ বুথের ভিতরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোট দিয়ে দিয়েছে,। নৌকার এজেন্টরাও ভোটারদের ফিঙ্গার দেয়ার পর জোর করে নৌকার বোতাম টিপে দিয়েছে। আওয়ামী ক্যাডাররা বুথের ভিতর অবস্থান করে ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দিচ্ছে কি না তা নজরদারী করেছে,। কেউ ধানের শীষে ভোট দিলে তার উপর হামলা করা হয়েছে,। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের সামনে বহিরাগতদের জড়ো করে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে,। সাংবাদিক ও তাদের গাড়ীর উপর হামলা ও রক্তাক্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় ইভিএমের রিমোট আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে পাওয়া গেছে। এমনকি ইভিএমের ক্রটির কারণে খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিজের ভোটটিও ভোট দিতে পারেননি। পরে বিকল্প পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছেন তিনি,। এটি ইভিএমের ক্রটির সবচেয়ে বড় প্রমান।
সর্বোপরি সাধারণ মানুষের ভোট বর্জনের(মাত্র ২৩%) মাধ্যমে এক অবিনব ভোট ডাকাতি দেখলো জাতি। প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্লজ্জ ভাবে পূনরায় আবারো গনতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে বিএনপির নির্বাচনী এজেন্ট সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বাসায় রাতে হানা দিয়েছে এবং এবং টেলিফোনে হুমকি দেয়া হয়েছে, কিন্তু সব বাঁধা পেছনে ফেলে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।
দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে কানাডা বিএনপি সর্বদা জিয়া পরিবারের উপর পূর্ন আস্থা রেখে বাংলাদেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে মাঠে থাকবে। এই লক্ষ্যে সর্বপ্রথম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় কারাবাস থেকে মুুক্ত করে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে অবৈধ হাসিনা সরকারের সকল অন্যায় কার্যক্রমের দলীল-প্রমানাদী কানাডা সরকারের কাছে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এই প্রতিবাদ বিবৃতিটিতে সাক্ষর করেছেন,কানাডা বিএনপি নেতা সর্বজনাব, আনসারউদ্দীন আহমেদ ,কামরুল হাসান ফারুক হাওলাদার, এজাজ আখতার তৌফিক , নবী হোসেন , ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফুর রহমান রাজু, আবুল বাসার মানিক , মাহমুদুল ইসলাম সুমন, নূর নবী রশীদ, মোস্তাহিদ আহমেদ মুকু , জুবের আহমেদ, আকবর বাসার, রোমেল রুমি , রেহেনা আকতার ,মুজিবর রহমান প্রমুখ।