ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মানবসেবাই আমার ব্রত। যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে আমি আমার কর্তব্য বলে মনে করি।’ নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের প্রিয় মুখ প্রফেসর দেলোয়ার হোসেনের মুখের কথাই এটি নয়; এটি তাঁর জীবনচর্চার অংশও। প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন নামেই বেশি পরিচিতি পাওয়া এ ব্যক্তি রাজনীতির বাইরে দেশে ও প্রবাসে জনকল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
কমিউনিটির যেকোনো ভালো কাজে যাদের ডাক পড়ে এবং যারা অন্যদের ডাক দেন, তাঁদের একজন প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন। দেশে থাকাকালে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় যুক্ত হন ছাত্রদলের সঙ্গে। তুখোড় ছাত্রনেতা হিসেবে একসময় অগ্রসর ভূমিকা পালন করেন দেশের নানা আন্দোলনে। শিক্ষাজীবন শেষ করে ফেঞ্চুগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। নানা সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে ১৯৮৮ সালে আসেন আমেরিকায়। এখানে এসে বসত গড়েন বাঙালি অধ্যুষিত ব্রুকলিনের চার্চ ম্যাকডোনাল্ড এলাকায়। কাজের পাশাপাশি বাঙালি সংস্কৃতি লালনে নিজেকে আরও সক্রিয় করে তোলেন।
সমাজকর্মের সঙ্গে নিজেকে আরও সম্পৃক্ত করতে ২০০৬ সালে দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক পদের। একই বছর তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতির। রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে একজন দলমত নিরপেক্ষ মানুষ হিসেবে সব সময় কাজ করেছেন তিনি।
দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপে। প্রবাসে এসেও তিনি গ্রামের মানুষের কথা ভোলেননি। তাঁর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সন্দ্বীপের ২০টি স্কুলে মেধাবৃত্তি চালু রয়েছে। ১৯৯৭ সালে সন্দ্বীপ এডুকেশনাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। একাধারে পালন করছেন নিউইয়র্কের জনপ্রিয় সংগঠন বাপার সভাপতির দায়িত্বও। স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে নিউয়র্কের এই বাসিন্দা প্রবাসীদের যেকোনো প্রয়োজনে সাড়া দেন। তাঁর দুই মেয়েই গ্রহণ করেছেন উচ্চশিক্ষা।
প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন অনলাইনে বহুল পঠিত দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ ডট নেট এর সাথে জড়িত । ।তিনি গত ৭বছর ধরে এই জননন্দিত পোর্টালটির উপদেষ্টা হিসাবে সংগ্রামী ভূমিকা রেখে চলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত দেলোয়ার হোসেন আমেরিকায় বিএনপির রাজনীতি নিয়ে বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে কমিটি নেই। এর কারণ, এখানকার নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা। বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কাউকে সভাপতি-সম্পাদক করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে যারা বিএনপি করেন, বিভক্তির কারণে তাঁদের অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। আবার বিচ্ছিন্নভাবে বিভক্তিতে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় নতুন কমিটি দেওয়া।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো।