দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ মার্কিন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মার্থা স্টুয়ার্ট মাত্র ৪৫,৬৭৩ ডলারের ক্ষতি এড়াতে তার ইমক্লোন সিস্টেমের ৩,৯২৮টি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ১৬ শতাংশ ধস্ নামানোর প্রতারণামূলক মামলায় একজন দাগী আসামী সাব্যস্ত হয়ে পাঁচ মাসের জেল খাটেন ও দুই বছর কঠোর নজরদারিতে ছিলেন।
ওই ঘটনার তুলনায় সাবেক আওয়ামী মন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদ আসাদুজ্জামান নূরের অত্যন্ত ঘনিষ্ট ব্যবসায়িক পার্টনার, দেশ টিভির উপ-মহাব্যবস্থাপক ও অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটিসিও)-র নেতা আরিফ হাসানের (জন্ম: ২৭ জুন, ১৯৭৪, জাতীয় আইডি: ১৯৭২৬৯২৬১৯০০০০৬৭ ও পাসপোর্ট: বিওয়াই ০১৪০২৫৩) দুর্নীতিটি আরো অনেক বিশাল।
কেননা বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ আহরণের কারণে দেশত্যাগের ক্ষেত্রে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে সুনির্দিষ্টভাবে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ৩৩৫ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতি, ১২৮ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন এবং কানাডার অভিজাত এলাকা ৮২ হলিউড অ্যাভিনিউ, নর্থ ইয়র্ক, অন্টারিও এম২এন ৩কে১ ঠিকানায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যমানের একটি অসংলগ্ন বাড়ীর তিনি ক্রয়সূত্রে মালিক হন, যার কোনো বৈধ ব্যাখ্যা তার কাছে নেই। ওই ঘটনাটি সবিস্তরে দুই কিস্তিতে উন্মোচন করেছে ঢাকাভিত্তিক অনলাইন পত্রিকা বাংলা ট্রিবিউন এবং তারই প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক মাধ্যমে বিশেষত উভয় দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
কারণ, দেশ টিভি তার অঙ্গীকারে ‘জনগণের স্বপ্ন ও আকাঙ্খাকে’ সমুন্নত রাখার প্রত্যয়টি শুধু ব্যক্ত করেনি, বরং একইসূত্রে ফেসবুকে তার সঙ্গে দেশের সুউচ্চ ব্যক্তিবর্গের ছবিও দৃশ্যমান। অবশ্য দুদক কর্তৃক তার উপর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ২০১৯ সালের মার্চ থেকে অক্টোবর সময়কালের পুরোটাই তিনি টরন্টোয় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন এবং নায়াগ্রা জলপ্রপাত ভ্রমণ ও সৌদি আরবে ওমরা পালনে গেছেন, এরপর আর কোনো উল্লেখযোগ্য ছবি তার ফেসবুকে নেই।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- ব্যাংকের বিশাল অংকের টাকা আত্মসাতের দায়ে তাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে দুদকের আর কতোটা সময় প্রয়োজন?
নাকি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক থাকলেই বাংলাদেশে যেকোন অন্যায় করে পার পাওয়া যায়???