ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ব্যাংকে কোনো টাকা নেই– এ কথাটা মোটেও সত্য নয়। টাকা না থাকলে আমরা এতো উন্নয়ন কাজ কীভাবে করছি ? আমাদের ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ রয়েছে, যা দিয়ে বাংলাদেশের জন্য ছয় মাসের খাদ্য কেনা যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবেই।
মঙ্গলবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা ও ষষ্ঠ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমাদের ১৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। টাকা আছে বলেই আমরা নিয়েছি। এ প্রসঙ্গে তিনি ৬৮৫টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটি আজ কারও কাছে লুকায়িত নেই। একসময় দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের রাজত্ব ছিল। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা ছিল না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। এক দশকে আমরা বাংলাদেশের অবস্থার পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, যারা ছোট্ট শিশু ধর্ষণ করছে তারা পশুর চাইতেও অধম। এটি অত্যন্ত জঘন্য কাজ। তাদেরও ঘরে মেয়ে আছে। মানুষ এত জঘন্য চরিত্রের কীভাবে হতে পারে? আমরা এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কেউ আমাদের উন্নয়ন না দেখলে তা তাদের দেখার ভুল। গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত দেশের মানুষ অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুফল ভোগ করছে। দেশে মাঝেমধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। আমরা সেগুলো মোকাবিলায় তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিই। যেমন– করোনাভাইরাসের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি, যাতে চীনে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করতে না পারে। ডেঙ্গু নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। মশার ব্যাপারে আমাদের নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। নিজেদের বাড়িঘর আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে মশা জন্মাতে না পারে। মশা যদি জন্মাতেই থাকে তাহলে তো ঘরে ঢুকবেই।
নারী ও শিশু নির্যাতনের ব্যাপারে তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একটা খেলা শুরু হয়। এর কারণ মানুষ প্রয়োজনের তুলনায় একসঙ্গে বেশি কেনে। করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে ওষুধের কাঁচামালসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছি।