ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে দুর্বল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের দেশরক্ষা বাহিনীর মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে বিডিআর বিদ্রোহের ডামাডোলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবচেয়ে চৌকশ এবং মেধাবী ৫৭ জন পদস্থ অফিসারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ।
এই গনহত্যার দায়ে এবং সকল সুযোগ থাকার পরও তাদের জীবন রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এবং সেনাবাহিনী প্রধান মঈন ইউ আহমেদ বিচার একদিন অবশ্যই হবে। এই গনহত্যার উপর করা সেনাবাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়বে এই ভয়েই ঐ প্রতিবেদনই গায়েব করে দেয়া হয়েছে।
আজ বিডিআর গনহত্যার ১১ম বার্ষিকীতে এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং হাসিনা-মঈনের বিচারের দাবীতে কানাডা বিএনপি আয়োজিত মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মন্ট্রিয়ল মহানগরীর বাংলাদেশী অধ্যুষিত পার্ক এক্সটেনশন এর পার্ক মেট্রোর সামনে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কানাডা বিএনপি নেতা ক্যাপ্টেন (অবঃ) মারুফুর রহমান রাজু এবং পরিচালনা করেন কানাডা বিএনপি আবুল বাসার মানিক।
প্রচন্ড ঠান্ডা আবহাওয়া উপেক্ষা করে দেশপ্রেমীক বাংলাদেশী ভাই বোন গন এই মানবন্ধনে যোগ দেন । বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, কানাডা বিএনপি নেতা সর্বজনাব কামরুল হাসান ফারুক , এজাজ আখতার তৌফিক , নবী হোসেন, ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজু , আনসারউদ্দীন আহমেদ, এম জয়নাল আবেদীন জামিল , নূরনবী রশীদ , আবুল বাসার মানিক,মাহমুদুল ইসলাম সুমন, মোস্তাহিদ আহমদ মুকু, মোঃ নাসিরউল্লা প্রমূখ।
বক্তারা অবিলম্বে ২৫ শে ফেব্রুয়ারীকে যথাযোগ্য মর্যাদায় 'শহীদ সেনা দিবস' ঘোষনা করে রাষ্ট্রীয় ভাবে পালনের দাবী জানান । বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম এ গনহত্যার প্রকৃত হোতাদের চিন্হিত করে বিচারের জোর দাবী জানান তারা। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিডিআর হত্যাকান্ড সহ সকল গুম-খুনের সুষ্ঠু বিচার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এছাড়াও সমাবেশ হতে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করে বাংলাদেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তীব্র গন-আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়।
এই মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আরও উপস্থিত ছিলেন,কানাডা বিএনপি নেতা সর্বজনাব ,মোঃ মোস্তাহিদ আহমেদ(মুকু) ,মোঃ রফিকুল ইসলাম , রফিকুল ইসলাম , জুবের আহমেদ ,মাহমুদুল ইসলাম সুমন , রফিকুল ইসলাম , আবদুস সালাম , প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন পরাগ প্রমূখ।