ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ হাসিনা সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের অংশগ্রহণ ছাড়া মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা কোনোভাবেই পূর্ণতা পায় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অন্য কোনো দেশের যদি এককভাবে সবচেয়ে বেশি অবদান থাকে, সেটি হচ্ছে ভারত এবং ভারতের জনগণ। মুক্তিযুদ্ধে এবং বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য ভারতের যে অবদান, সেসব বিবেচনাতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য ভারত বিরোধিতার ধারাবাহিকতা রক্ষা, আরেকটি হচ্ছে বাংলাদেশে যে বিশ্বে উদাহরণযোগ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে, তার বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া। আশা করব, তারা সে পথ পরিহার করবেন। মনে রাখতে হবে, যখনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়েছে, তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা কঠোর হস্তে দমন করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের এক কোটি মানুষ ভারতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। তৎকালীন ভারত সরকার সর্বতোভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশে ছুটে গিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক চাপ ও বিশ্ব জনমতের কারণেই পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশে এখন মুজিববর্ষকে সামনে রেখে দেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছে। ১৭ মার্চ মুজিববর্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কয়েক মাস আগেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন।
তাছাড়াও প্রতিবেশী অনেক রাষ্ট্রকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদি ভারতের অংশগ্রহণ না থাকে, আমি মনে করি তাহলে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা পূর্ণতা পায় না। সুতরাং এখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।