ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা তিন মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক আওয়ামী সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মো. আবদুল মান্নান। ওই আদেশের ঘণ্টাখানেক পর বিচারক আবদুল মান্নানকে অন্যত্র বদলি করা হয়।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বদলির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রায়ের পরপরই মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নানকে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত কোনো কাগজপত্র আমরা এখনও পাইনি। এটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখতে হবে। তবে জজকে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান।
আদালত সূত্র জানায়, দুদকের তিন মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের নেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে ঐদিন বিকেলেই বিশেষ ব্যাবস্থায় জামিন লাভ করেন জনাব আউয়াল ও তার স্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা, জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর পৃথকভাবে তিনটি মামলা করে দুদক।
মামলাগুলোর মধ্যে একটিতে সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুটিতে এককভাবে আউয়ালকে আসামি করা হয়।