ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গত ২ মার্চ,সোমবার,বাংলাদেশের ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির লক্ষ্যে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি।
ইন্টার স্টেট বিএনপি যুক্তরাষ্ট্র কার্য্যকরী কমিটির উদ্যোগে ২ মার্চ সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে ,বাংলাদেশের ৩বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারর্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও জেল থেকে নিঃশর্ত মুক্তির লক্ষ্যে স্মরণকালের বৃহত্তম প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের মূল এবং সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং শুভানুধায়ী। এই ঐতিহাসিক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অনটোনিও গুতারেজ এর কাছে গণতন্ত্র পুর্নউদ্ধার এবং তিন বারের নির্বাচিত বয়োবৃদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার দলের সকল নেতাকর্মীর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সকল রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য স্বারক লিপি দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ।
উল্লেখিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা করেন। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘ সহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন যে, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিবেশী হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র ভারতীয় শাসক গোষ্ঠী এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
ইতিমধ্যে এই দেশটির ফ্যাসিষ্ট ও মুসলমান নিধন ও খুনী রাষ্ট্র প্রধান বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৈৗমত্ব নিজদের নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে আমাদের দেশের স্থল, জল ও আকাশ পথের উপর তাদের সার্বিক কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রন নিশ্চিত করেছে। আমাদের সেনাবাহিনী, আমাদের পুলিশ, আমাদের বিজিবি, আমাদের সিভিল প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রে তারা তাদের আধিপত্য ও আগ্রাসনবাদী নীতি কার্যকর করার জন্য অসংখ্য দেশ বিরোধী চুক্তিপত্র বাস্তবায়ন করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতার এবং কারাবন্দি করা হয়।
এই মহান নেত্রীর গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সুমহান গণতন্ত্রকে কারা বন্দি করা হয়েছে। তার গ্রেফতারের ফলে দেশের গণতন্ত্র, মানব অধিকার, আমাদের বিচার ব্যবস্থা, আমাদের বাক ব্যক্তি, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা সহ সকল অধিকার আজ ভুলণ্ঠিত এবং নির্বাসিত।
বেগম খালেদা জিয়া তিন বারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়ার মত একজন বয়োজৈষ্ঠ নেত্রী পৃথিবীর কোন জেলখানায় বন্দি নেই। আমরা মানবিক কারণে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ তার সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দলের সকল নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা ও রাজবন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ সহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে আহবান জানাচ্ছি।
সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সকল সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লুু , সাবেক আন্তজাতিক সম্পাদক ও সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম দুলাল, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনওয়ারুল ইসলাম, বাকির আজাদ, ফারুক চৌধুরী, মাহমুদ চৌধুরী, ইন্টার স্টেট বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সালেহ চৌধুরী, ইন্টার স্টেট বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ. খালেক আকন্দ, যুবদল সভাপতি জাকির চৌধুরী, যুবদল সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, শ্রমিক দল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক দল সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন, মুক্তিযোদ্ধ দলের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান, ফোরাম সভাপতি নাসিম আহমেদ, সাইদুর খান, খালেক আখন্দ, খুলকুর রহমান, আনোয়ার হোসাইন, শেখ হায়দার আলী, রেজাউল আজাদ ভূইয়াঁ, সাইফুর খান হারুন, কাওসার আহমেদ, ফারুক হোসাইন মজুমদার, জাফর তালুকদার, হুমায়ুন কবির, শামীম মাহমুদ, বি এম বাদশা, এবাদ চৌধুরী, হেলালুর রহমান, জামিলুর রহমান, তানভীর হাসান খান প্রিন্স, মোস্তাক আহমেদ, ওয়াহেদ আলী মন্ডল, হুমায়ুন কবির, আবদুর রহিম, মোস্তফা আহমেদ, মীর মশিউর রহমান, মোফাজ্জল ভূঁইয়া, আবুল কালাম, রুহুল আমিন, মোহাম্মদ জহির, এমদাদুল ইসলাম, এয়াকুব আলী, আজিজুল ইসলাম, আবুল বাশার, উত্তম বণিক, কয়েস আহাদ, মীর সিরাজুল ইসলাম, রিংকু চৌধুরী, সরকার সালাউদ্দিন, ফরিদ খন্দকার, তামিম চৌধুরী, সৈয়দ গোসী হোসেন, জাবেদ উদ্দিন, মহিদুর রহমান মহিত, রিয়াজ মাহমুদ, মীর মিজান, দেওয়ান কাওসার, মজিবুর রহমান, হারুনুর রশিদ, মুরসালিন হোসাইন, আসলাম উদ্দিন, হোসাইন সোহেল, প্রফেসর ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ।