ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুতের, দাসত্বের নয় বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে দেশের স্বার্থের কথা ভুলে যাই না। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে নতুন করে দলীয় কর্মী অন্তর্ভূক্তির লক্ষ্যে দলের ‘প্রাথমিক সদস্য ফরম’ ও ‘গঠনতন্ত্র’ তুলে দেয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ‘মুজিববর্ষের’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন,ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে নয়।
যারা মোদির বাংলাদেশে আসার বিরোধিতা করছেন,তারাই ভারতের সঙ্গে দাসের মতো আচরণ করেন। তিনি বলেন,বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলেন। সেই দলটির নেতারাই ভারতের নেতাদের খুশি করতে দাসের মতো আচরণ করেন।
এখন তারা কোন লজ্জায় মোদির বিরোধিতা করছেন? ওবায়দুল কাদের বলেন,মোদির বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে যারা বিরোধিতা করছেন,তারা মুজিববর্ষেরই বিরোধিতা করছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদে জড়িত,সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী এমন কাউকে দলের সদস্য না করতে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, দাগি,সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক-ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তরা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী,জাহাঙ্গীর কবির নানক,সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম,ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর,উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।