ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভয়াবহ করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আমেরিকা-ইতালির চেয়েও বাংলাদেশ অনেক বেশী সফল বলে মনে করেন অবৈধ হাসিনা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তাঁর ভাষায়, অন্যান্য বড় বড় দেশ যেমন, আমেরিকা এখনও করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই, ইতালি পারে নাই। কাজেই আমরা তো অনেক আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা তাদের কাছ থেকে শিখে গত দুই মাস আগে থেকে এ প্রস্তুতি নিয়েছি। যার ফলে বাংলাদেশ এখনও তুলনামূলক ভালো আছে।’
বৃহস্পতিবার করোনা ও হাম পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি সামিট গ্রুপ থেকে দেওয়া পাঁচটি থার্মাল স্ক্যানার গ্রহণ করেন।
‘যেখানে আর্চওয়ে ছিল না, সেখানেও দিয়ে দেব। কিছু অতিরিক্তও হাতে থাকবে। যেখানে আর্চওয়ে ছিল না সেখানে স্ক্যানিং হয় নাই, এটা ঠিক না। যেখানে আর্চওয়ে ছিল না, সেখানেও আমরা হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যানিং করেছি। স্ক্যানার যখন নষ্ট ছিল, তখনও আমরা হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার দিয়ে স্ক্যানিং করেছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘স্ক্যানারের বিশেষ উপকারিতা কী? এটা শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করতে পারে। কিন্তু ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা আছে কি না, সেটি নির্ণয় করতে পারে না। কাজেই আমাদের এই ভুল ধারণা থাকলে হবে না যে স্ক্যানার করোনাভাইরাস নির্ণয় করে। স্ক্যানার শুধু তাপমাত্রা নির্ণয় করে। তাপমাত্রা করোনার কারণে হতে পারে, অন্য রোগের কারণেও বাড়তে পারে। স্ক্যানারে এটুকুই উপকার হয়, কারো শরীরে তাপমাত্রা পাওয়া গেলে আমরা তাকে সরিয়ে ফেলি, তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাই। পর্যবেক্ষণে রাখি।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। যারা বিত্তবান আছে, সহযোগিতা করতে চান, যারা দেশের মানুষকে সহযোগিতা করতে চান, আমরা আহ্বান করবো, আপানরা এগিয়ে আসেন। দেশ যাতে নিরাপদে থাকে এর জন্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আমরা আশা করি, এটার মোকাবিলা করতে পারবো। আমরা প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছি।
‘আহ্বান রাখছি, যারা বিদেশে আছেন, এ মুহূর্তে দেশে না আসলে ভালো হয়। আসলে তারা স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে যাবে বলে আমরা আশা করছি। আমাদের যাদের আত্মীয়-স্বজন বিদেশে আছে, তারা যাতে মোবাইলে বলে দেই, এ মুহূর্তে যাতে তারা নেহাত প্রয়োজন ছাড়া যাতে না আসেন। এতে দেশ ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা রক্ষা পাবে। এ বার্তাটি আগেও দিয়েছি। এখন আবার দিলাম, বলেন তিনি।