ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রাজধানীর উত্তরায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে একটি বেসরকারী হাসপাতালে হামলা চালায় স্থানীয় অধিবাসীগন। । এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের বাধার মুখে পড়লে ভাঙচুর, হাতাহাতি ও হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে র্যাব।
হাসপাতালের আশপাশের বাসিন্দারা মনে করছে, আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ওই হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিলে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বেন।
জানা যায়,ঐ হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রতিবাদে কয়েকশ মানুষ রাস্তায় অবস্থান নিয়ে মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি উত্তরা পশ্চিম থানায় অবস্থিত একটি হাসপাতালে সামনে যায়। এ সময় মিছিলকারীরা মূল গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে হাসপাতালের কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা তথা মিছিলকারীদের বাকবিতণ্ডার পর হাতাহাতি ও হট্টগোল বাধে। এ সময় মিছিলকারীরা হাসপাতাল ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
খবর পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও মিছিলকারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং কল্যাণ সমিতির নেতাদের বাকবিতণ্ডা এবং পরে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীদের লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
পরে রাত সোয়া ৯টার দিকে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১১ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দর সঙ্গে হাসপাতালের ভেতর বৈঠক করেন। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলা বৈঠক শেষে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমরা এখানে সেক্টরবাসীরা করোনা ভাইরাসের রোগীর ভর্তি কিংবা চিকিৎসা সেবা নিতে দিবো না। আমরা উত্তরা বাসিরা খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। এবিষয়ে নিয়ে আমরা স্থানীয় প্রশাসন বৈঠক করেছি। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জানান, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা করার জন্য সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৫টি হাসপাতাল অনুমতি নিয়েছিল। এর মধ্যে এই হাসপাতালটি রয়েছে। আমরা তাদের কাগজপত্র দেখেছি। আমরা হাসপাতাল বন্ধ করতে পারিনা। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্যাপার। তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।