ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দীর্ঘ ২ বছর পর কারামুক্ত হয়ে বর্তমানে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানের বাসায় তাকে দেখতে যান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মামুন। তিনি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ খোঁজখবর নেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের বিষয়টি দেখভালে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ড সদস্যরা তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য একটি নতুন লাইনআপ তৈরি করেছেন। আপাতত তাকে কোয়ারেন্টিনে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে। কোয়ারেন্টিন শেষ হলে প্রয়োজনীয় কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
তবে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি পুরোপুরি দেখভাল করছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান। পরিবারের সদস্যরা তাকে সেঈ দায়িত্ব দিয়েছেন। জোবায়দা রহমানের সঙ্গে সমন্বয় করেই মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসা চালিয়ে যাবে।
জানা যায়, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্য এমনকি ডাক্তাররাও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখছেন। এই মুহূর্তে নেতাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করছেন না তিনি। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা তাকে দেখতে যান। সঙ্গে করে নিয়ে যান রান্না করা খাবার।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রসঙ্গে তার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, বাড়ি ফেরার পরে সে (খালেদা জিয়া) মানসিকভাবে ভালো থাকলেও সুস্থ নেই। শ্বাসকষ্ট আছে। হাত নাড়াতে পারছেন না। আপাতত বাড়িতে যতটা সম্ভব চিকিৎসা দেয়া হবে। একটু সুস্থ হয়ে উঠলে, তার পছন্দমতো হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা দেয়া হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ড্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য ছয় সদস্যের একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আমি ও ডা. মামুন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। আর চিকিৎসার পুরো বিষয়টি সমন্বয় করছেন ডা. জোবায়দা রহমান।
তিনি বলেন, আপাতত কোয়ারেন্টিনের মধ্য থেকেই যতটুকু সম্ভব তার চিকিৎসা করা হচ্ছে। কারণ এই মুহূর্তে আমাদের কাছে সবচেয়ে আতঙ্ক করোনাভাইরাস। সেটি বিবেচনা নিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে আমরা তার সঙ্গে কথা বলছি। প্রয়োজন ছাড়া কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না।