DMCA.com Protection Status
title="৭

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন বেগম খালেদা জিয়া, শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদলের সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন এই কথা জানান। এছাড়া বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস নিয়ে খালেদা জিয়া বেশ উদ্বিগ্ন বলে জানান আরেকজন চিকিৎসক।

ডাঃ জাহিদ হোসেন বলেন, লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। ম্যাডামকে পূর্ণাঙ্গ সুস্থ করতে দীর্ঘ সময় লাগবে এবং আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।

গত ২৫ মার্চ থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় কোয়ারেইন্টানে খালেদা জিয়ার চিকিসৎসা কার্যক্রম চলছে তার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিমের তত্ত্বাবধায়নে। ওইদিন বিকালে সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুলশানে ‘ফিরোজা’য় আসেন খালেদা জিয়া। বাসায় ওঠার পর ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে কোয়ারেন্টিনে তার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। তার সাথে নার্সসহ সেবা প্রদানকারী কয়েকজন সদস্যও সেলফ কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ‘ফিরোজা’র দোতলাতে।

৭৪ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া রিউমাটিজ আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিকস, চোখ ও দাঁতের নানা রোগে আক্রান্ত।

ব্যক্তিগত চিকিৎসক টিমের একাধিক সদস্যের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার হাত-পায়ের ব্যথাটা বেশি। তার শারীরিক অসুস্থতার অনেক বেশি। তিনি হাঁটতে পারেন না। ব্যথা উপশমের জন্য গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে থ্যারাপী দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে উনি আরাম অনুভব করছেন।

চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়ার ডায়াবেটিকস এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার সুস্থতার অগ্রগতি ধীর। এজন্য দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হবে। তাকে বাসায় আনার পর উনি মানসিকভাবে স্বস্তিবোধ করছেন।

করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন খালেদাঃ

একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রামণে দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খবর পত্রিকা-পত্রিকার দেখে উনার (খালেদা জিয়া) মন অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়। মানুষজনের কী হবে, তারা কীভাবে বাঁচবে, গরীবদের কী হবে, তাদের চাকুরি থাকবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে উনি উদ্বিগ্ন, এনিয়ে উনি চিন্তিত। এতে উনার মনের ওপর চাপও পড়ছে। আমাদের সাথেও আলাপের সময়ে করোনার ভয়াবহতার বিষয়টি নিয়ে উনার মন খারাপ হওয়া কথাটা আমাদেরকে বলেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!