ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ঘোষিত সাধারন ছুটিতে এক অভুতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীতে। রাজশাহী মহানগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় শাবকসহ চারটি হরিণ খেয়ে ফেলেছে পাঁচ ক্ষুধার্ত কুকুর।
কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশে সবকিছু বন্ধ থাকায় কোনো খাবার পাচ্ছে না রাস্তার কুকুরগুলো। তবে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের কোনো অবহেলা ছিলো কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই বিশেষ সময়ে পাল্টে যাচ্ছে রাস্তার কুকুরদের স্বাভাবিক আচরণ। ক্ষুধা মেটাতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই আপাতঃ নিরীহ প্রাণীগুলো।
অঘোষিত লকডাউনের কবলে যখন সারা দেশ, তখন গেল শুক্রবার এমনই এক অস্বাভাবিক ঘটনার সাক্ষী রাজশাহীর এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। সেখানে খাচায় ঢুকে শাবকসহ চারটি হরিণ খেয়ে ফেলেছে পাঁচ কুকুর।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার সুপারভাইজার বাবর আলী বলেন, হরিনের শেডে মাটি ফেলার জন্য একটি গেট রাখা হয়েছিলো। সেখানে নিচের দিকে মাটি খুড়ে ভেতরে ঢোকে পাঁচ ক্ষুধার্ত কুকুর।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে সারাদেশে সাধারণ ছুটি কাটাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে, চিড়িয়াখানার তদারকিতে কোন গাফিলতি ছিলো কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৯৭৩ সালে চিড়িয়াখানাটি স্থাপনের পর ১৯৯৬ তত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয় রাজশাহী সিটি করপোরেশনকে। যখানে হরিণের সংখ্যা ছিলো ৭৫টি।