ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ তিনি কুলাউড়া এলাকার সংসদ সদস্য। একসময়ের ডাকসাইটে ছাত্রনেতা। সুনাম সিলেটের গণ্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় পর্যায়ে। এই জনপ্রতিনিধির হাত ধরেই সিলেটসহ সারাদেশ তৈরি হয়েছে হাজারো নেতা-কর্মী। সুখ্যাতি ছিলো ত্যাগী এব স্বজ্জন নেতা হিসেবেও। সেই জনপ্রতিনিধির একজনসাধারন ভোটার এলাকা থেকে খোঁজ করলেন নেতার।
তিনি হলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
ঐ এলাকার ভোটার জনাব মোহিন আহমদ এবং সুলতান মোঃ মনসুরের কথোপকথন থেকে যা শোনা গেলো-তাতেই আমরা হতভম্ব। ভাষা নেই কিছু বলার। পুরো সময়টা এই এমপির ভাষা ছিলো অশালীন এবং অপমানজনক। বাকরুদ্ধ হওয়া মতো সেই কতোপকথন এখানে তুলে ধরা হলো পাঠকদের স্বার্থে।
মোহিন আহমদ: ভাই এলাকায় আসবেন না?
সুলতান মনসুর : এসে কি করবো? তোমার বোন বিয়ে করবো, নাকি তোমারে আমার বোন বিয়ে দিবো?
মোহিন আহমদ: না, সেরকম কিছু না। আমাদের কিছু অনুদান দিতেন, আমরা বড় বিপদে পড়ছি। কাজ নাই, ঘরে খাবার নাই।
সুলতান মনসুর : আমি কি মক্কা থেকে খাবার এনে দিবো? আমার পকেট থেকে দিবো? মেম্বার, চেয়ারম্যানরে বলো।
মোহিন আহমদ: না মানে, উনারা তো যতটুকু পারছেন সহযোগীতা করছেন, আপনি আসলে আমাদের জন্য আরও উপকার হতো।
সুলতান মনসুর : মেম্বার, চেয়ারম্যান কি তাদের বাপের সম্পদ থেকে অনুদান দিচ্ছে? কি আবোল তাবোল বকছো? এই সময় ঘরে থাকাই কাজ, ঘরে থাকো।
মোহিন আহমদ: ঘরে তো থাকছি। কিন্তু খাবার জুটছে না। এভাবে চললে, না খেয়ে মরতে হবে। আপনি এলাকায় এসে আমাদের জন্য কিছু করেন।
সুলতান মনসুর : ঘরে থেকে না খেয়ে মরবে কেন? গলায় দড়ি দিয়া হাওরের পানিতে গিয়া মরো। যত্তোসব, শেখ হাসিনা, এমপি কি ঘরে খাবার নিয়ে যাবে নাকি? ফোন রাখো, ফোন রাখো।
মোহিন আহমদ : হ্যা, হ্যা, হ্যা শেখ হাসিনা আমরা বানাইছি, এমপি আমরা বানাইছি, চেয়ারম্যান, মেম্বার আমরা বানাইছি। আমাদের খেয়াল করার জন্য। আমাদের জনগনের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য।
এমন সময় ফোন কলটি কেটে গেলো।
সবচেয়ে দুঃখজনক হলো আওয়ামী লীগের এই নেতা সুলতান মোঃ মনসুর ২৯শে ডিসেম্বর,১৯১৮এর মিডনাইট ইলেকশনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন।