ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজনের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারনে কর্মহীন সাধারণ মানুষকে সহায়তা দিতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির বিশেষ ওএমএস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
চাল বিতরণ ব্যবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম ,লুটপাট এবং বিশৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন কারণে এ কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ওএমএসসহ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ ও চুরি হওয়া চাল আটকের পর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত এলো।
খাদ্য সচিব নাজমানারা বলেন, ‘এটা (বিশেষ ওএমএস) মাত্রই শুরু হলো। দু’দিন মাত্র বিক্রি হয়েছে। সেভাবে অনিয়ম করতে পারেনি। ৫ তারিখে বিক্রি হয়েছে মহানগর ও জেলা শহরে, আর ৭ (এপ্রিল) তারিখে পৌর এলাকায় বিক্রি হয়েছে। এই মুহূর্তে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চলছে। একই সময়ে পর্যাপ্ত ত্রাণও বিতরণ করা হচ্ছে। তাই চালের অ্যাভেইলঅ্যাবেলিটি থাকার কারণে দুর্নীতির সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়ছে। তাই আমরা বন্ধ রেখেছি ওটা।’
তিনি বলেন, ‘এক দিন বিক্রির পরই আমরা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বন্ধ রেখেছিলাম। এই কর্মসূচি স্থগিত করার আরেকটি কারণ হচ্ছে চাল কেনার জন্য মানুষের গ্যাদারিং হয়, এতে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাজারের তুলনায় চালের দাম কম হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে বিতরণের জায়গায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তারা সামাজিক দূরত্বও মানছে না। এতে করোনার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন হলে এটা আবার চালু করা হবে।
এখন জিআরের (জেনারেল রিলিফ) দিকেই জোরটা বেশি দেয়া হবে। এ ছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও অব্যাহত থাকবে।’ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে ২৫শে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এতে প্রায় ৭ কোটি শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ওএমএস খাতে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩০ টাকার স্থলে ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ বিভাগ চালের মূল্য কেজিপ্রতি ১০ টাকা নির্ধারণ করে। একটি সূত্র জানায়, সুবিধাভোগীরা এই চাল পাচ্ছিল না। বরং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী এবং তাদের লোকজনরাই এই সুবিধা নিচ্ছিল। এমনকি বস্তা বদলে এই চাউল ভিন্ন মোড়কে খোলাবাজারে যাবার প্রমানও রয়েছে।