ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেশেই নকল করোনা প্রতিরোধী মাস্ক N95 বানিয়ে তা বিদেশ থেকে ভূয়া আমদানি দেখাচ্ছে খোদ বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়, এমন ভয়াবহ দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে আমাদের হাতে।
জানা যায়,অবৈধ হাসিনা সরকারে ব্যর্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালিকের ছেলে রাহাত মালিক শুভ্র, স্বাস্থ্য সচিব আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ মিলে বিশ্বে সুপরিচিত মাস্কের নকল N95 মাস্ক মুন্সীগঞ্জের একটি কারখানায় বানিয়ে ভুয়া আমদানি দেখিয়ে সরবরাহ করেছে অখ্যাত ঠিকাদার আবদুর রাজ্জাকের প্রতিষ্ঠান JMI গ্রুপকে দিয়ে। এই নকল মাস্ক বাংলাদেশের সকল সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সরবরাহ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়।
এই নকল N95 মাস্ক ব্যবহারের কারনে হয়তো আমরা হারাতে যাচ্ছি স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত অগনিত মানুষকে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর ছেলে রাহাত মালেক শুভ্র আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ যৌথভাবে করোনা ইস্যুকে পুঁজি করে নগ্ন বাণিজ্যে মেতে উঠেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পিতা কর্নেল মালেক এরশাদের আমলে ঢাকার মেয়র থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতারা তার কার্যালয় ভাংচুর করেছিলো স্বাধীনতা বিরোধী অবস্থানের কারণে, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক অতীতে কখনোই ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলো না, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সে হাইব্রিড হিসেবে পরিচিত; তার দুর্নীতিগ্রস্ত ছেলের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম ,এক্ষেত্রে সচিবের ছেলে এই লেনদেন দেখভাল করছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ আওয়ামী লীগ পন্থী ডাক্তার হিসেবে পরিচিত হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বদৌলতে মেয়াদ শেষেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বারোটা বাজিয়ে যাচ্ছে; JMI গ্রুপকে দিয়ে নকল N95 মাস্ক সরবরাহ করে দেশের সকল চিকিৎসককে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।
ডাক্তার আবুল কালাম আজাদের অব্যবস্থাপনায় ঝুঁকির মুখে আজ দেশের স্বাস্থ্য সেবা, বিপন্ন হয়ে পড়েছে সরাসরি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী চিকিৎসকদের জীবন।
অতিদ্রুত উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সামনে আরও বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে আমাদের, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপোষ করার কোনো সুযোগ নেই; স্বাস্থ্য খাতকে বাঁচাতে হলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে।