ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ হাসিনা সরকারের গত এক যুগের দুঃশাসনামলে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতা এবং অপ-রাজনীতির স্বর্গ রাজ্য। এরই ধারাবাহিকতায় সৃষ্ঠি হয়েছে এক দল নির্লজ্জ হাসিনার স্থাবক বুদ্ধিজীবি বাহিনী যাদের কাজই হচ্ছে ক্ষুরধার লেখনীর সূচারু মিথ্যা দিয়ে জনগনকে রূপকথার কল্পকাহিনী শোনানো।
এদেরই অন্যতম হচ্ছেন,বিশিষ্ট চেতনাবীদ,সূচিন্তা ফাউন্ডেশনের কর্নধার,অসীম ক্ষমতাধারী মোহাম্মদ এ আরাফাত। সম্প্রতি তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেনঃ
চিলমারীর সেই বাকপ্রতিবন্ধী বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে যে ছবিটি তোলা হয়েছিলো তা পুরো বিশ্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলো। এখনো চলছে সেই ষড়যন্ত্র। ১৪ এপ্রিল গাজীপুরের তেলিহাটি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের শারীরিক প্রতিবন্ধী নুরুল ইসলামকে নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে বিএনপি-জামায়াতিরা। ওই ভিডিওতে নুরুল ইসলাম নিজের সম্পর্কে কিছু মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেয়। অনেক তথ্য গোপনও করে সে। সে জানায়, তার বাড়িতে কোনো খাওয়ার নেই। তাই সে খাওয়ার জন্য হাহাকার করে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে মাত্র দুইদিন আগে সে সরকারি অনুদান পেয়েছে।
সে সারাবছরই প্রতিবন্ধী ভাতা পায় এবং ১০ টাকা কেজি দরে চাল পায়। সে আরও অতিরিক্ত ত্রাণ সহায়তা পাওয়ার লোভে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এমন কাজে তাকে প্রলুব্ধ করেছে বিএনপি-জামায়াতিরা। বাংলাদেশ সরকার সমগ্র বছরজুড়েই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সহায়তা প্রদান করে আসছে।
করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতিরা কিছু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে লোভী হতে প্রলুব্ধ করছে। এতে করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে এবং প্রকৃত একজন সাহায্যপ্রার্থী লোক বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সচেতন হোন, আসুন করোনাভাইরাসের সঙ্গে সঙ্গে ষড়যন্ত্রকারী বিএনপি-জামায়াতিদেরও প্রতিরোধ করি।