ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংকট মোকাবেলায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ১৮টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। নাগরিকদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষার দিক বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিস্ট নেটওয়ার্ক নামের অর্থনীতিবিদদের একটি সংগঠন। সেখানে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সাতটি ক্ষেত্র বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
যে সাতটি ক্ষেত্র বা সূচক বিবেচনায় নেয়া হয়েছে সেগুলো হলো-
=) স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানোর পদক্ষেপ।
=) অসুস্থতাকালীন ছুটির সময় পর্যাপ্ত ভাতা ও সুবিধা।
=) চাকরিচ্যুতি ঠেকানো এবং বেকার মানুষকে সহায়তা দেয়া।
=) বয়স্ক, বেঁচে ফেরা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ভাতা চালু করা।
=) নাগরিকদের আয়-সহায়তা বাড়ানো।
=) পরিবারকে সেবা দেয়ার জন্য ছুটি বা অন্য সুবিধার নীতি।
=) কর এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারি এই ভাইরাসটির মোকাবেলায় সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ নিয়েছে ফিলিপাইন, ইরান ও থাইল্যান্ড। তারা মোটামুটি সবগুলো ব্যবস্থাই নিয়েছে। এরপরই রয়েছে চীন, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। তারা মোট ছয় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। আর জাপান, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারত এই দেশগুলো পাঁচ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা চারটি এবং নেপাল ও পাকিস্তান তিনটি করে পদক্ষেপ নিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ায় ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম ভাইরাসটির মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। তবে সেখানে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। আর মিয়ানমারও বাংলাদেশের মতোই কম পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে এই দুটি দেশে তৈরি পোশাকের বেশিরভাগ কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্বের তিন-চতুর্থাংশ শ্রমশক্তির জোগান দিচ্ছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই দেশগুলো। এর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা শক্তিশালী থাকায় করোনা মোকাবেলার সামর্থ্য চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার অপেক্ষাকৃত বেশি। তবে মাথাপিছু আয় তুলনামূলক কম থাকায় বাংলাদেশ, নেপাল ও অন্য রাষ্ট্রগুলোর সামর্থ্য কিছুটা কম।