DMCA.com Protection Status
title="শোকাহত

করোনা মহামারির কারনে বিশ্বের ১৬০ কোটি মানুষ জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে: আইএলও।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে কর্মরত বিশ্বের প্রায় ১৬০ কোটি মানুষ করোনাভাইরাস মহামারিতে জীবিকা হারানোর তাৎক্ষণিক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। এ সংখ্যক মানুষ বিশ্বের মোট শ্রমশক্তির অর্ধেক।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার (২৯ এপ্রিল) জাতিসংঘের এ সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বন্ধ রাখা হয়েছে বহু দেশের অর্থনীতির চাকা। ফলে চাকরির ওপর তৈরি হয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি। আইএলওর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সেই ঝুঁকির চিত্রই উঠে এসেছে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আইএলও মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, বিশ্বের মোট ৩৩০ কোটি শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক শ্রমজীবীরাই সবচেয়ে বেশি দুর্বল। তাদের শ্রমের সুরক্ষা নেই, ভালো চিকিৎসা সেবা পাওয়ার সুযোগ নেই, এমনকি বাড়িতে থেকেও কাজের সুযোগ নেই।
গাই রাইডার বলেন, লাখ লাখ কর্মীর আয় নেই মানেই তাদের খাবার নেই, নিরাপত্তা নেই আর কোনও ভবিষ্যতও নেই। সারা বিশ্বের লাখ লাখ ব্যবসা এখন কোনও রকমে টিকে আছে। তাদের কোনও সঞ্চয় নেই, ঋণ পাওয়ারও সুযোগ নেই। এসবই বিশ্বে কাজের পরিস্থিতির সত্যিকার চিত্র। এখনই যদি তাদের সাহায্য না করি তাহলে তাদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। 
আইএলও বলছে, দীর্ঘায়িত হতে থাকা লকডাউন এবং অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মোট কর্মঘণ্টার পরিমাণ আরও মারাত্মকভাবে কমে আসবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সেক্টর হলো উৎপাদন, বাসস্থান, খাবারের সেবা, পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য এবং রিয়েল এস্টেট।
মরণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ লাখ ২০ হাজার ১৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২ লাখ ২৮ হাজার ২১৫ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডমিটারে এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লাখ ৩০৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩০ জন। তাদের মধ্যে ১৯ লাখ ৩১ হাজার ৮১৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৯ হাজার ৮১১ জনের অবস্থা গুরুতর।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!