ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ফেসবুকে হাসিনা সরকারের করোনা ত্রান কার্যক্রমের ব্যপক সমালোচনা করায় গতকাল মঙ্গলবার দিদারুল ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তিকে উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে র্যাবের পরিচয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যগন। দিদারুলকে বাসা থেকে যারা তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা দিদারুলের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনও নিয়ে গেছে।
দিদারুল রাষ্ট্রচিন্তা নামের একটি সামাজিক আন্দোলন মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রচিন্তার পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক ও গণক্ষমতাকেন্দ্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থার সংকট চিহ্নিত করা এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাব্য পথ অনুসন্ধান করার একটি উদ্যোগ।'
দিদারুলের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি গনমাধ্যমকে বলেন, ইফতারের আগে দুটি কালো মাইক্রোবাসে করে কিছু লোকজন আসেন। তাঁদের পরনে সাদা পোশাক ছিল। কিন্তু তাঁরা নিজেদের র্যাব সদস্য বলে পরিচয় দেন। আরও জানান জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম বলেন, বিনা পরোয়ানায় দিদারুলকে তুলে নিয়ে যাওয়ায় তাঁরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তাঁরা দ্রুত দিদারুলকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এমন একটা সময় দিদারুলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, যখন রাষ্ট্রচিন্তার পক্ষ থেকে দরিদ্র, নিরন্ন মানুষকে ত্রাণ বিতরণের কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে র্যাব-৩ এর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। র্যাব–৩ এর অধিনায়ককে খুদে বার্তায় পরিচয় জানিয়ে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরচিালক কর্ণেল তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার গন-মাধ্যমকে বলেন, 'দিদারুল সাহেব সম্পর্কে দেওয়ার মতো তথ্য আমার কাছে নেই।' তাঁকে র্যাব-৩ তুলে নিয়ে গেছে কি না জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে তিনি অবহিত নন।
দিদারুল ভূঁইয়ার ফেসবুকে মহামারী মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত ও ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে সমালোচনামূলক কিছু লেখা দেখা গেছে।