ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ হাসিনা সরকারের বিশেষ নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জামিনে কারামুক্ত বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনও হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাদেরও দেখা দিচ্ছেন না তিনি। তবুও তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে দলীয় নেতাকর্মীদের আগ্রহের শেষ নেই।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি জানান, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত উন্নতি হয়নি। তবে তিনি মানসিকভাবে ভালো আছেন।
১১ মে রাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ফিরোজায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জামিনে মুক্তির পর এটাই ছিল দুই নেতার প্রথম সাক্ষাৎ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'উনি (খালেদা জিয়া) আমাকে ডেকেছিলেন, আমি গিয়েছিলাম। হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় আসার কারণে নি:সন্দেহে মানসিকভাবে ওইটুকু রিলিফ তিনি পেয়েছেন। সেকারণে তিনি মানসিক দিক দিয়ে একটু বেটার আছেন। আর স্বাস্থ্যগত দিক থেকে, তার অসুখের দিক থেকে খুব একটা ইমপ্রুভমেন্ট একদমই হয় নাই। তার তো চিকিৎসাই হচ্ছে না। কারণ হাসপাতাল তো বন্ধ প্রায়। হাসপাতালে গিয়ে তিনি পরীক্ষা করবেন সেই সুযোগও নেই।'
জামিনের ক্ষেত্রে সরকারের শর্তের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উনি বিদেশ যেতে পারবেন না। অন্যান্য দেশগুলোতে একই অবস্থা। লকডাউন, যোগাযোগ সবই বন্ধ। সে কারণে চিকিৎসার সুযোগটিও পাচ্ছেন না। উনি আগে যে চিকিৎসা নিতেন, তার ব্যক্তিগত যেসব চিকিৎসক রয়েছেন তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের জন্য জামিন পান খালেদা জিয়া। মুক্তির পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে তিনি গুলশানের বাসায় উঠেন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই আছেন।
এর আগে দুর্নীতির দুই মিথ্যা মামলায় ১৭ বছরের ফরমায়েসী দণ্ড নিয়ে টানা দুই বছরেরও বেশি সময় জেল খাটেন তিনি।