ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ করোনা মহামারী প্রতিরোধে ‘দেশবাসীকে ঘরে থাকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিধি মেনে চলার’ আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
গতকাল সোমবার ঈদের দিন রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় প্রধানের এই বার্তা সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীকে পবিত্র ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই মহাসংকট করোনাভাইরাস মহামারী সব স্বাস্থ্য বিধি মেনে মোকাবিলা করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাড়িতে থাকুন, একটু কষ্ট করুন। বাড়িতে থেকেই এই সংক্রামণকে প্রতিরোধ করতে হবে। একথা তিনি বার বার বলেছেন। জনগন যেন ঘরে থাকেন এবং এই মহামারী প্রতিরোধ করবার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে সব বিধান তা যেন তারা মেনে চলেন।’
ফখরুল বলেন, সেই সঙ্গে তিনি সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন যে, এতো প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছেন।
তিনি বারবার বলেছেন, এখন সাহস না হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের সাজা স্থগিত করে মুক্ত হওয়ার পর স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দলীয় প্রধানের সঙ্গে এটি প্রথম সাক্ষাত। রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত গুলশানে ‘ফিরোজা‘য় দোতলায় এই সাক্ষাত হয়।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দলীয় প্রধানের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সাক্ষাত শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, এই চরম একটা সংকটের সময়ে যখন সামাজিক দূরত্বকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, তার মধ্যেও দেশনেত্রী(খালেদা জিয়া) আমাদেরকে সময় দিলেন।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আমাদের নেত্রীকে নিরাপদ রাখার জন্য আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, আমরা সবাই স্পেশাল পিপিই পরে হাতে গ্লাভস নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি উনার কোনো ইম্প্রুভমেন্ট হয়নি। ইম্প্রুভমেন্ট মধ্যে যেটুকু হয়েছে, তা হচ্ছে তার মানসিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো হয়েছে, শারীরিক অবস্থার তার খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি।
এর আগে গত ১১ মে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।