DMCA.com Protection Status
title="৭

চা-ওয়ালা বন্ধু মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের ২৫ মিনিটের ফোনালাপ।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা, জি৭-এ ভারতের অন্তর্ভুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চলমান গন বিক্ষোভসহ সাম্প্রতিক নানা ইস্যু নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার বন্ধু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার এ দুই নেতার মধ্যে প্রায় ২৫ মিনিট কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

চীনের সঙ্গে সম্পর্কটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না মার্কিন প্রেসিডেন্টের। বাণিজ্যযুদ্ধের পর করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দিনদিন আরও তীব্র হচ্ছে। বিশেষ করে ট্রাম্পের দিক থেকে আক্রমণ আসছে একের পর এক। এশিয়া অঞ্চলে চীনের প্রভাব কমাতে ভারতকে কাছে টানার পথেই হাঁটছেন এ রিপাবলিকান নেতা। নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রিয় বন্ধু’র স্বীকৃতি দিয়েছেন অনেক আগেই, দেখা-সাক্ষাতও হয়েছে বেশ কয়েকবার। সম্পর্কের উষ্ণতা বোঝাতে বাগাড়ম্বরের অভাব রাখেনননি কেউই। ট্রাম্পের ভারত সফরে তা প্রকাশ পেয়েছে আরও জোরেশোরে।

এ কারণে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে থাকবে, সেটাকেই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সোমবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান এলিয়ট এঞ্জেল জানিয়েছেন, ভারতের চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ‘চীনা আগ্রাসন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এ সংকট সমাধানে ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান প্রক্রিয়া ও কূটনৈতিক সম্পর্ক মেনে চলতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই ভারক-চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এমনকি এ নিয়ে মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। তবে, সেসময় তার ফোনালাপের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সবশেষ ৪ এপ্রিল তাদের মধ্যে কথা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল নয়া দিল্লি। পাশাপাশি, ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছে তারা। একই পথে চীনও। তারাও জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সংকট সমাধানে তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই। এর মধ্যেই মঙ্গলবার মোদির কাছে ফোন করেন ট্রাম্প।

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হযেছে, ট্রাম্প ও মোদি দুই দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তাদের আলাপচারিতায় ভারত-চীন সীমান্ত সংকট, যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের জেরে বিক্ষোভ, করোনা মহামারি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পুনর্গঠনের মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

 

নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বেগ এবং দ্রুত এ সংকট সমাধানের আশাপ্রকাশ করেছেন।

এছাড়া, আসন্ন সম্মেলনে জি৭-এ ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও আলোচনা করেছেন দুই নেতা। এবারের সম্মেলন আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা করেছেন ট্রাম্প। এ সম্মেলনে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়াকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, ফোনালাপের পর নরেন্দ্র মোদি নিজেই এক টুইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কথা হলো। জি-৭, করোনাসহ অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

এসময় করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতেও ভারত-যুক্তরাষ্ট্র মধুর সম্পর্ক অটুট থাকবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!