ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ প্রস্তাবিত ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটের ৬৬ শতাংশ অর্থ রাজস্ব আয় থেকে যোগানোর পরিকল্পনার ব্যাখ্যায় অবৈধ হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী আ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাজেট তো দিয়েছি কিন্তু টাকা কোথা থেকে আসবে সে চিন্তা আমরা করিনি। মানুষকে বাঁচাতে হবে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রামের অর্থনীতিসহ সামষ্টিক অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করতে হবে। অর্থ যাই লাগবে সেটা জোগাড় করা হবে।”
শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসে একাধিকবার এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন অর্থমন্ত্রী আ ম মুস্তফা কামাল। করোনাভাইরাস সঙ্কটে এবারের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন হয়েছে অনলাইনে।
নিজের দেওয়া দ্বিতীয় বাজেটকে ‘মানুষকে রক্ষা করার’ বাজেট হিসেবে বর্ণনা করে মুস্তফা কামাল বলেন, “সেই চিন্তা থেকেই আমরা প্রথমে টাকা খরচ করব; পরে আয় করব। আগে মানুষকে বাঁচাতে হবে। তারপর টাকা জোগাড় করব।”
আর মহামারীর ধাক্কায় বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য সংশোধন করে যেখানে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে হয়েছে, কবে এই মহামারী শেষ হবে সেই নিশ্চয়তা যখন কেউ দিতে পারছে না, তখনও নতুন অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করার ব্যাখ্যায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ওই লক্ষ্য তিনি ধরেছেন ‘অতীতের অর্জনের ধারাবাহিকতায়’।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী উপস্থাপন করেছেন, তাতে অর্থনীতিতে মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, বরাদ্দে মনোযাগ পেয়েছে স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা আর কৃষিখাত।
মহামারীর মধ্যে গত তিন মাস ধরেই ব্যবসা-বাণিজ্য প্রায় স্থবির, শিল্প উৎপাদনও গতিহারা। আমদানি-রফতানি, রেমিটেন্সসহ অর্থনীতির সব সূচকই বাজে অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ফলে বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে এনবিআর।
তারপরও অর্থমন্ত্রী বাজেটের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় নির্বাহের জন্য ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে আদায়ের পরিকল্পনা করেছেন, যার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা।