ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত নিয়ে সংসদে যে ব্যপক সমালোচনা হচ্ছে তাকে ‘গণতন্ত্রের সৌন্দর্য’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও অবৈধ হাসিনা সরকারের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যেভাবে আলোচনা হয়েছে, এটিই ‘বিউটি অব দ্য ডেমোক্রেসি’।
এভাবেই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, গণতন্ত্র এগিয়ে যায়। আমি মনে করি সংসদের আলোচনাটি দায়িত্ব পালনে এবং গণতন্ত্রকে সংগত করার ক্ষেত্রেও সহায়ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী করবেন সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই বলতে পারবেন, অন্য কেউ বলার এখতিয়ার রাখে না, বলতে পারবেও না।’
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল না। ফলে সবখানে পর্যুদস্ত অবস্থা হয়েছে এবং সব দেশের স্বাস্থ্যখাতই আলোচনা-সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোসহ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতেও উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এবং তাদের অর্থনৈতিক সংগতি আমাদের চেয়েও অনেক ভালো থাকা সত্ত্বেও তারা করোনা মহামারী ঠিকভাবে সামাল দিতে পারেনি, কারণ এটার জন্য কেউই এমনকি চীনও প্রস্তুত ছিল না। চীনে যে চিকিৎসক করোনাভাইরাসের বিষয়ে প্রথম সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ও তিনি পরে করোনাক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। প্রত্যেক দেশেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিস্থিতিতে নানাভাবে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। নেদারল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তো এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নিজেই পদত্যাগ করেছেন। জার্মানীর একজন প্রাদেশিক মন্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আরো অনেক দেশেই এ ঘটনা ঘটেছে।’
দেশের সীমিত সামর্থ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমদিকে যেসব অসুবিধা ছিল, সমন্বয়েও কিছুটা ঘাটতি ছিল, সেটি এখন আর নেই। এখন অনেক সমন্বিতভাবে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং সেকারণে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে কয়টি দেশে খুব কম তার মধ্যে একটি।’