ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শরীরে নিউমোনিয়া ও করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ইন্তেকাল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সিলেট জেলা, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হক , ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকালে শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হলে তিনি সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে তার শরীরে করোনাভাইরাস ছিল কি-না তা জানা যায়নি। এরপর বুধবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
মরহুম এম এ হকের করোনা উপসর্গ থাকায় সতর্কতার সাথে তাঁর দাফন ও জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। বাদ আসর নগরীর মানিকপীরের টিলার সামনের সড়কে তার নামাজে জানাজা ও বাদ এশা তাঁর গ্রামের বাড়ি বালাগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।
এম এ হক সিলেট জেলা বিএনপির দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।
এম এম হকের গ্রামের বাড়ী বালাগঞ্জ উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে। দীর্ঘ ১২ বছর ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি। ২০০৩ ও ২০০৮ সালের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এমএ হকের আকস্মিক মৃত্যুতে সিলেট সহ সারাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মরহুমের স্বজন, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচর সহ সর্বস্তরের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোকাবহ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। অনেকে ছুটে গিয়েছেন হাসপাতাল ও মরহুমের বাসভবনে। একজন স্বজ্জন দয়ালু ব্যক্তি হিসাবে এম এ হক সর্বমহলের গ্রহণযোগ্য ছিলেন।