DMCA.com Protection Status
title="৭

এবার ভারত সীমান্তে নেপালের সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি, আরো চাপে ভারত।

 

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  একদিকে চীনের রক্ত চক্ষু। অপরদিকে সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি নেপালের। শুধু তাই নয়, তৈরি করা হচ্ছে নতুন নতুন সেনা ক্যাম্প। সব মিলিয়ে আরো চাপে পড়েছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কোলকাতা২৪- এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনা বৃদ্ধির পাশাপাশি একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হেলিপ্যাড বানানোর কাজ করছে নেপাল।

স্থানীয় মানুষ জানাচ্ছে, লিপুলেখ এলাকায় হঠাৎ করেই গত কয়েকদিনে নেপালি সেনার তৎপরতা বেড়ে গেছে। এ সংক্রান্ত ছবি প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গলের মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্যাম্প বানানোর কাজ শুরু করেছে নেপাল। যদিও এই ছবিতে যে ক্যাম্পগুলি দেখা যাচ্ছে সেগুলি অস্থায়ী ক্যাম্প বলা হচ্ছে। অন্তত এক একটা ক্যাম্পে ১২ থেকে ১৩ জন করে নেপাল আর্মি জওয়ান রয়েছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এমন পরিস্থিতি আগে তারা দেখেননি। কোনো দিন নেপাল আর্মিকে অন্তত এই সমস্ত জায়গায় দেখা যায়নি।

শুধু তাই নয়, ইন্দো-নেপাল সীমান্তে ব্যাপকভাবে নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে নেপাল। আর্মি বেস, রাস্তাসহ একগুচ্ছ নির্মাণ শুরু করেছে। পাশাপাশি চীন-নেপাল সীমান্তেও চলছে নির্মাণ কাজ।

কালাপানি থেকে মাত্র ৪০ কিমি দূরে একটি পোস্ট বানিয়েছে নেপাল আর্মি। সেখানেও চলছে তৎপরতা। স্থানীয়রা বলছেন, হেলিকপ্টারে করে সেনাবাহিনীর যন্ত্রপাতি আনা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ভারতের তিন জায়গাকে নিজেদের দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল।

এছাড়া কয়েকদিন আগে বিহারে নেপাল সীমান্তে গুলি চালায় নেপালের সেনা। তাতে এক ভারতীয়ের মৃত্যু হয়।এদিকে ভারতের পক্ষে নেপালের পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধান হওয়া সম্ভব বলে মনে করছে দেশটি।

 

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও জানিয়েছেন, নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মজবুত রয়েছে।

নেপালও জানিয়েছে, এতে করে দুই দেশের বন্ধুত্বে কোনো প্রভাব পড়বে না।

 

১৫ জুন রাতে লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ভারতের। এতে ভারতের ২০ সেনা নিহত হয়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

এ অবস্থায় লাদাখে অত্যাধুনিক অ্যাপাচে হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে ভারত। যাতে রয়েছে ট্যাংকবিধ্বংসী মিসাইল ও রকেট।

এদিকে থেমে নেই চীনও। দেশটির পিপলস লিবারেশন আর্মিও (পিএলএ) সেনা সরঞ্জাম বাড়াচ্ছে ভারত সীমান্তে। তারা প্যানগং লেকের উত্তর তীর বরাবর ঘাঁটি বসিয়েছে।

এছাড়া তিব্বতের হোতান ও কাশগড় বিমানঘাঁটিতে অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে৮ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে বেইজিং।

 

 

 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!