ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আসন্ন বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপ-নির্বাচনে মাস্ক না পরলে কেউ ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। মেনে চলতে হবে অন্য স্বাস্থ্যবিধিও।
নির্বাচন কমিশন (ইসি)সচিব মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের একথা বলেন। আগামী ১৪ জুলাই এ দুই আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বন্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোট দেওয়াও যেমন মানুষের অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়ার ইচ্ছাপোষণ করাও মানুষের অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। তাই বন্যার কারণে ভোট দেওয়ার ইচ্ছা থাকলে ভোটার নৌকায় করে আসবেন। আর ইচ্ছা না করলে বা সম্ভব না হলে ভোট দিতে আসবেন না।
তিনি বলেন, আসন দু’টিতে ১৫ জুলাই ও ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ভোট করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় ভোট করা ছাড়া উপায় নেই। অন্যথায় সংবিধান লংঘনের দায়ে যে কেউ মামলা করতে পারবে। এ দায় কেউ নেবে না।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর আরো বলেন, নির্বাচনী প্রচারের বেশি সময় নেই। এই সময়ের কেউ প্রচার চালালে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। জনসভা, পথসভা, মিছিল, দল বেঁধে প্রচারণা করা যাবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাস্ক ছাড়া ভোটার কেন, কাউকেই ভোটকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শারীরিক দূরত্ব তত্ত্ব মেনে লাইনে দাঁড়াতে হবে। ভোট দেওয়ার আগে হাত ধুয়ে স্যানিটাইজ করে ভোট দেবেন। ভোটার দেওয়ার পর আবার স্যানিটাইজ করে হাত ধুয়ে নেবেন। ভোটকেন্দ্রে স্যানিটাইজরসহ হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
গত ২৯ মার্চ এই দুই আসনে ভোটগ্রহণ করার ছিল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু করোনার কারণে ভোটের এক সপ্তাহ আগে ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণের কারণে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে ভোটের অংশ নেওয়ার জন্য করোনার মহামারি কাটার পর ভোটগ্রহণের দাবিও তুলেছে দলটি।