ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য এবং রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ একজন জঘন্য আর অমানুষ বলে মন্তব্য করেছেন অবৈধ হাসিনা সরকারের আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, এমন অমানুষকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।
করোনা শনাক্তকরণের সার্টিফিকেট নিয়ে স্মরণকালের প্রতারণা করেছে সাহেদ করিমের রিজেন্ট হাসপাতাল। যে প্রতারণার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সাহেদ করিম জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মিলছে৷ এ প্রসঙ্গে জাগো নিউজের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারিতে মানুষ মানবিক হচ্ছে। একে অপরের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। অথচ এমন বিপদকালে সর্বোচ্চ প্রতারণা করেছে। এটি জঘন্য, এটি অমানুষের কাজ। এই অপরাধকে কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাকে বিচারের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।’
সাহেদ করিম রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়েছেন- এর জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘একজন মানুষ রাজনৈতিক পরিচয় দিতেই পারেন। কিন্তু তাই বলে ব্যক্তির দায় ওই রাজনৈতিক দল নিতে পারে না। আর অপরাধীর কোনো দল থাকতে পারে না। অপরাধীর মূল্যায়ন অপরাধ দিয়েই করতে হয়।’
বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সহায়ক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা- এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই অভিযোগ শুধুই সমালোচনার স্বার্থে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থাকলে সাহেদ করিমের হাসপাতাল সিলগালা হতো না। বিচার হচ্ছে বলেই সাহেদরা ছাড় পাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং প্রতারণার অভিযোগে ৬ জুলাই র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল উত্তরায় অবস্থিত হাসপাতালের একটি শাখায় অভিযান চালায়। সেখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া সনদ দেয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পায় র্যাব।
পরদিন অনিয়মের হাসপাতালের উত্তরা শাখা সিলগালা করে অভিযোগে দেয় র্যাব। একই দিন রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর এবং উত্তরা দুটি শাখারই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরই মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মো. সাহেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও (হিসাব) ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।