ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ২০১৪ সাল থেকে লাইসেন্স বিহীন রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে করোনা সেবা চুক্তি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ নিজ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন।
সেখানে তিনি বলেছেন, রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল সাবেক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের মৌখিক নির্দেশে। তবে সাবেক সচিব বুধবার গণমাধ্যমে এ বিষয়টি অস্বীকার করেন।
বর্তমান স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে জানান, মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিখিত জবাব দিয়েছেন, আমরা সেটি পেয়েছি। সেই জবাবের সঙ্গে তিনি অনেক কাগজ সংযুক্তি দিয়েছেন। সেগুলো পর্যালোচনা করা হবে। আমরা দেখব, তার কাছে যা জানতে চেয়েছি সেগুলো আছে কিনা। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হলে আমরা লিখিতভাবে জানাব এবং সন্তুষ্ট না হলে পরবর্তীকালে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তির লিখিত আদেশ এ ব্যাখ্যার সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে কিনা। তিনি জানান, সেই চুক্তি করা হয়েছিল সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলামের মৌখিক নির্দেশে। যিনি বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আবদুল মান্নান আরও উল্লেখ করেন, সব বিস্তারিত জানার জন্যই আমরা তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম।
এর আগে, রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণার বিভিন্ন বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে নির্দেশেই অধিঃদফতর রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তি করে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়।
এর প্রেক্ষিতে গত ১২ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শারমিন আকতার জাহান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ বলতে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক কী বোঝাতে চেয়েছেন, সে বিষয়ে তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, যে কোনো হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির আগে নিয়মানুযায়ী তা সরেজমিন পরিদর্শন, হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি, জনবল ও ল্যাব ফ্যাসিলিটি বিশ্লেষণ করে বিবেচিত হলেই চুক্তি করার সুযোগ রয়েছে।