ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ প্রথমবারের মতো সরাসরি মানবদেহে করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে কানাডা। দেশটির কুইবেক-ভিত্তিক করোনার এই ভ্যাকসিন নিয়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আশার আলো দেখছে।
বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মেডিক্যাগোর প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রুস ক্লার্ক জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করতে ১২০টির বেশি কোম্পানি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানই আগে কখনও ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করেনি। তাই এসব ভ্যাকসিন কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সোমবার কানাডার কুইবেক শহরে প্রথমবারের মতো মানবদেহে করোনার ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে ব্রুস ক্লার্ক বলেন, আমরা প্রথম দফায় ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছি। এটা হয়তো একেবারেই নির্ভুল নাও হতে পারে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন উন্নয়নে কাজ চলছে। চূড়ান্ত ভ্যাকসিন হাতে পেতে হয়তো কয়েক বছর সময় লাগবে। হয়তো এতে ১৮ মাসের সময় লাগতে পারে।
মেডিক্যাগোর এই ভ্যাকসিন প্রথম দফায় ১৮০ জন সুস্থ নারী-পুরুষের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালানো হবে। এদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছর।
প্রথম দফার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হলে আরও দুই দফায় এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালানো হবে। মানবদেহে এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফলভাবে শেষ হলে ২০২১ সালের শেষ দিকে ১ কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে মেডিক্যাগোর।
এদিকে, নভেল করোনাভাইরাসের একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের সব ক’টি ধাপ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার সেচেনভ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। একই সঙ্গে তারা এই ভ্যাকসিন আগামী ১২ থেকে ১৪ আগস্টের মধ্যে বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।
রুশ গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, বিশ্বের যেসব দেশ ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। তারা ছাড়া এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ ও সফল করার দাবি করতে পারেননি।
আগামী আগস্টের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রুশ বিজ্ঞানীরা। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে ওষুধ সংস্থাগুলো রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিনটির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারবে।