ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গুরুতর রোগী সেজে এবং নিজ পরিচয় গোপন করে দেশ ছেড়ে ব্যাংকক যাওয়া সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারকে আগাম জামিন দেননি হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে, আদালতের সময় নষ্ট করায় দুই ভাইকে ১০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী (পিপিই) জরিমানা করেছেন আদালত, যা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে জমা দিতে হবে।
থাইল্যান্ডে অবস্থান করে ভার্চ্যুয়ালি এ ধরনের আত্মসমর্পণ ও জামিন আবেদন ‘বিধিবহির্ভূত’ উল্লেখ করে আজ সোমবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে, রোববার বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদার। বর্তমানে তাঁরা ব্যাংককে অবস্থান করছেন। কিন্তু বিদেশে বসে এভাবে আগাম জামিন চাওয়ায় হাইকোর্ট ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
আদালতে দুই ভাইয়ের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, ব্যারিস্টার আজমালুল হক কিউসি এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ১৯ মে এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) সহ দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলশান থানায় রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, ৭ মে রন ও দিপু এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দী করে রাখেন। তাঁদের গুলি করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই রন হক ও দিপু হক পলাতক রয়েছেন। পরে নিজেদের চার্টার্ড বিমানে করে তাঁরা থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। সেখান থেকেই তাঁরা আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. বশির উল্লাহ জানান, আইনের দৃষ্টিতে দেশের বাইরে থেকে আগাম জামিন চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আদালত তাঁদের আবেদন খারিজ করে ১০ হাজার পিপিই জরিমানা করেছেন।