ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ মঙ্গলবার সকালে সদ্য প্রয়াত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সংগ্রামী সভাপতি শফিউল বারী বাবুর জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বিএনপি।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় এই ত্যাগী নেতাকে স্মরণে কান্নার রোল পড়ে যায় নেতাকর্মীদের মাঝে।
এর আগে কার্যালয়ের সামনের সড়কে শফিউল বারী বাবুর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির মো. শাহজাহান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কবির রিজভী, হাবীব-উন- নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরফত আলী সপু, আমিনুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম, জামায়াতের মহানগর নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ইয়াসীন আলী, ঢাকাস্থ রামগতি ইয়ুথ ফোরামের নজরুল ইসলাম বাবলুসহ বহু নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা শাহ নেছারুল হক।
জানাজার আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে শফিউল বারী বাবুর জানাজায় উপস্থিত হতে হবে এটা আমরা কল্পনাও করিনি। বাবু শুধু স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন না, তিনি বিএনপির একটা প্রাণ ছিলেন।
‘অসংখ্য নেতা-কর্মী সারাদেশে তার হাতে তৈরি হয়েছে এবং বিএনপির অঙ্গসংগঠনের মধ্যে এই ধরনের ত্যাগী, মেধাবী, বুদ্ধিমান, লেখপড়া জানা নিবেদিত প্রাণ নেতা খুব কম আছে। বাবুকে হারিয়ে আমরা আমাদের একটা অমূল্য সম্পদকে হারালাম। বিএনপির এই সৈনিক, শহীদ জিয়াউর রহমানের এই সৈনিক, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই সৈনিক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই সৈনিক কখনো পেছনে ঘুরে তাকায়নি। আন্দোলনে, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তার ভুমিকার কোনো তুলনা হয় না। আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি, আল্লাহ তালা যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন।’
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল ও প্রয়াত বাবুর বড় ভাই সাহেদুল বারীকেও শফিউল বারীর অবদানের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে।
শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে বিএনপির চেয়ার পারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা শোক প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার ভোর রাত ৪টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে শফিউল বারী বাবু ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এরপর মরহুম বাবুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার রামগতিতে।উপজেলার প্রসিদ্ধ আবদুল হাদী কলেজ মাঠে তাঁর ২য় দফা জানাজার তাকে দাফন করা হয়।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু ক্যান্সারে ভুগছিলেন। এ ছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫১ বছর। তিনি স্ত্রী , এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।