ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের নিহত হওয়াকে একটি ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
তাঁরা বলেছেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই। আর এই ঘটনায় দুই বাহিনীর সম্পর্কের মধ্যে চিড় ধরবে না।
আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে কক্সবাজার সৈকতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর রেস্টহাউস জলতরঙ্গের সম্মেলন কক্ষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
তাঁরা বলেন, কক্সবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে, এ জন্য তাঁরা এখানে এসেছেন। এটাকে একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চান।
সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘সিনহার মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ যে ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে কোনো প্রতিষ্ঠান দায়ী হতে পারে না। তদন্ত কমিটি যাদের দোষী সাব্যস্ত করবে, অবশ্যই তাদের প্রায়শ্চিত্ত পেতে হবে। এ জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের সহযোগিতা করবে না।
অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘টেকনাফে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটির কারণে দুই বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। বরং আমাদের লক্ষ্য হবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত যৌথ তদন্ত কমিটি হয়েছে, তাঁরা প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করবেন। তাঁরা তদন্ত করে যে প্রতিবেদন দেবেন, সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনি কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং সেটাই গ্রহণ করা হবে।’
বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, ‘এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই উসকানিমূলক কথাবার্তা বলছেন। এসব বলে তাঁরা সফল হতে পারবেন না। কারণ, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর মধ্যে পরস্পর সম্পর্ক রয়েছে। যারা বিভিন্ন উসকানিমূলক কথা বলে দুই বাহিনীর মধ্যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, তারা কখনো সফল হবে না।’ তাই দেশের স্বার্থে এ ধরনের কোনো কথাবার্তা না বলার অনুরোধ জানান তিনি।
এদিন সেনাবাহিনীর প্রধান আরো বলেন, ‘এ দেশের ইন্টারনাল ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন থেকে শুরু করে বাইরের যেকোনো সমস্যায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ কাঁধে কাঁধ রেখে কাজ করছে। এ ঘটনায় আমরা সবাই মর্মাহত।’
সংবাদ সম্মেলনে সেনাপ্রধান আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস এবং তদন্ত টিমের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। সেনাবাহিনীর আস্থা আছে, পুলিশ বাহিনীর আস্থা আছে।’