ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এখন থেকে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আর কোনো সরাসরি অভিযান পরিচালনা করতে পারবে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে জরুরি অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেই তা করতে হবে।
গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালসমূহে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সদস্যরা নানা বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করছেন। একটি হাসপাতালে একাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করাতে তাদের স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসমূহে এক ধরনের চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে।’
‘ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে জননিরাপত্তা বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা সদস্য হিসেবে আছেন। তাই ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো অপারেশন পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তা করতে হবে।’
এমতাবস্থায় যেকোনো সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকা এবং জরুরি অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব হলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ অথবা চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।