ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান একজন পুলিশ সদস্যের গুলিতে মারা যান। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ অত্যন্ত মর্মাহত। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, এটাই শেষ ঘটনা। ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) দেওয়া ‘কক্সবাজারে সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশ মহাপরিদর্শক কর্তৃক স্ব স্ব বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান’ শীর্ষক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ও এলাকার মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল পরিচালনা করা হবে। এ ব্যাপারে সেনাপ্রধান ও পুলিশের আইজিপি উভয় রাজি হয়ে নিজ নিজ বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ের যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৪ আগস্ট থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সেনাবাহিনীর প্রধান ও পুলিশের আইজিপি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিজ নিজ বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান ও পুলিশের আইজিপি উভয়ই ঘটনাটিকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেন। ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়ভার বাহিনী নেবে না বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।
ঘটনায় দুই বাহিনীর দীর্ঘদিনের পারস্পরিক সুসম্পর্কে চিড় ধরবে না। সুষ্ঠু তদন্ত এবং সুবিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং সুষ্ঠু তদন্ত কাজে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করা হবে না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরিচালিত হবে মর্মে নিজ নিজ বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
সিনহা মো. রাশেদ খানের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দুই বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান আস্থা আরও গভীর ও সুদৃঢ় করবে বলে উভয়ই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।