DMCA.com Protection Status
title="৭

আমাদের সময়ে আমরা জানতামইনা গুম কাকে বলেঃ মির্জা ফখরুল।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,আমাদের সময়ে আমরা তো জানতামই না গুম কাকে বলে। 

তিনি বলেন, আজকে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, এক লাখের ওপরে মামলা। হাজারো নেতাকর্মী গুম হয়েছে, খুন হয়েছে। ইলিয়াস আলীর মতো নেতা, চৌধুরী আলমের মতো নেতা, লাকসামের পারভেজের মতো নেতাসহ বহু নেতাকর্মী গুম হয়ে গেছেন। তাদের কোনো খোঁজ নেই। আমরা এই পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিতি ছিলাম না। আমরা জানতামই না গুম কাকে বলে। আজকে আমরা আমাদের নেতাদেরকে গুম হয়ে যেতে দেখছি।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি খুন করছে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলছে এবং মানুষের সব অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এ অবস্থা থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। আজকে প্রত্যেকটি মানুষ এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চায়।

সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখল করে দেশে একনায়কতন্ত্র চালু করেছে অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, টানা ক্ষমতায় থাকার জন্য শুধু বন্দুক-পিস্তলের জোরে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে তারা দখল করে করেছে। একতরফা শাসন ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করার জন্য তারা এটা করেছে। আজকে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রবিহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদার স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সভায় তিনি এসব বলেন।

দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বের হতে হবে। এ সরকারকে সরাতে হবে, জনগণকে মুক্তি দিতে হবে এবং সেই মুক্তি দিতে হলে জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হলে বিএনপিকে সব জনগণ ও সব রাজনৈতিক শক্তিকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের পরাজিত করতে হবে। সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে, সক্রিয় হতে হবে। ঐক্যবদ্ধকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারলে অবশ্যই জয়ী হব। 

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কোনো দিন কল্পনাই করতে পারি নাই যে, এই ইসি এরকম ভয়াবহ নির্বাচন করবে। তিন তিনটা নির্বাচনই তারা একই ধরনের নির্বাচন করেছে। এটা একটা হাইব্রিড সরকার। তারা নির্বাচনকে ব্যবহার করবে তাদের ক্ষমতায় থাকার জন্য এবং করছেও তাই। তারা পুলিশ, সেনাবাহিনী, প্রশাসন, আদালত সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করে বলেছে যে, আমরা তো নির্বাচিত সরকার।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে। এটা তো একটা অকল্পনীয় ব্যাপার। যে নেত্রী স্বাধীনতার পতাকা, গণতন্ত্রের পতাকাকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেছেন, জনগণ তার পেছনে ছুটেছে। সেই নেত্রীকে তারা আটক করে রেখেছে। এর একমাত্র কারণ, তিনি যদি বাইরে থাকেন তাহলে এই জনগণকে আটকে রাখা যাবে না। 

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের পরিচালনায় আলোচনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি নেতা সিরাজুল হক, নিলোফার চৌধুরী মনি, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, প্রয়াত নেতার স্ত্রী মাহমুদা সালাম, তার মেয়ে সালিমা বেগম, স্বামী মাহমুদুল হাসান, ভাতিজী সাদিয়া হক, স্মৃতি সংসদের সুজাত আলী, শামসুজ্জামান মেহেদি প্রমুখ।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!