ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ গত কয়েকদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক আলোড়ল সৃষ্টি করেছে একটি ভিডিও। গায়ে হলুদের সাজে এক নারী মোটরবাইক চালাচ্ছেন। তার পেছনে একই রঙের পাঞ্জাবি পরিহিত একদল যুবক। শহরের রাস্তায় মোটর শোভাযাত্রা। এমন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় হয়েছে। ভাইরাল সেই ছবির মেয়েটি যশোরের ফারহানা আফরোজ।
গত ১৩ আগস্ট নিজের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের ছবি তোলার পোজ দিতে গিয়েই এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করেন যশোরের ফারহানা আফরোজ; যা শুধু যশোর কেন,সারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একেবারেই ব্যতিক্রমী ঘটনা।
জানা গেছে, ১৪ আগস্ট পাবনার কাশিনাথপুরের বাসিন্দা হাসনাইন রাফির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন যশোর শহরের সার্কিট হাউস এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফারহানা আফরোজ। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন রাফি ঢাকার গাজীপুরে কর্মরত আছেন।
সোমবার রাতে এই প্রতিবেদককে ফারহানা আফরোজ বলেন, ঢাকাতে বাইক চালিয়ে নারীদের গায়ে হলুদের এন্ট্রি (ছবি তোলার পোজ) দেয়া কমন ব্যাপার। আমি যেহেতু বাইক চালাতে পারি, তাই ভাবলাম গায়ে হলুদের দিন পার্লার থেকে বেরিয়ে বাইকেই এন্ট্রি দিব। সেই হিসেবে বাইকেই এন্ট্রি দিলাম। ভিডিও ধারণ, ছবি তোলা হল। শহর ঘুরলাম। সঙ্গে ছিল বন্ধুবান্ধব, স্বজনরা। তাদের গায়েও একই রঙের পাঞ্জাবি ছিল। যশোরের প্রেক্ষাপটে এটা যথেষ্ট ব্যতিক্রমী ছিল। মূলত ব্যতিক্রমী কিছু করার ভাবনা থেকেই এমন আয়োজন করেছি।
ফারহানা আফরোজের বাড়ি যশোর সার্কিট হাউসের সামনে। যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে যশোর আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এখন তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি থেকে এইচআর’এ এমবিএ করছেন।
ফারহানা আফরোজ জানালেন, ২০০৭ সাল থেকে তিনি বাইক চালান। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানকে ব্যতিক্রমী করতে ভিন্নধর্মী ভাবনা তার মাথায় ছিল। এই ভাবনা থেকেই তিনি এমন আয়োজন করেছেন। বিয়ে, গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে সবাই নেচে গেয়ে উৎসব করেন। আমি যেহেতু বাইক চালাতে পারি; তাই বাইক চালিয়েই এন্ট্রি দেয়ার পরিকল্পনা করি।
এই বিয়ের অনুষ্ঠান ক্যামেরায় ধারণ করা নাহরুল হায়াত তরু জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ক্যামেরায় কাজ করছেন। কিন্তু এমন ব্যতিক্রমী বিয়ে-গায়ে হলুদের আয়োজন কখনও দেখেননি। এই গায়ে হলুদের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই তার কাছে ফোন করছেন।
সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তর।