ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার আসামি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কনস্টেবল আব্দুল্লাহ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মো. আবদুল্লাহকে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে হাজির করে। পৌনে পাঁচটা থেকে রাত সোয়া আটটা পর্যন্ত জবানবন্দি দেন তিনি। রাত সাড়ে আটটার দিকে আসামি মো. আবদুল্লাহকে গাড়িতে তুলে র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যান তদন্তকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে আসামি মো. আবদুল্লাহ শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে সেদিন কী ঘটেছিল, নিজের দেখা ঘটনা তুলে ধরেন। তবে এপিবিএন সদস্যের স্বীকারোক্তি বিষয়ে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম।
৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা। তিনি মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন। এ সময় পুলিশ সিনহার সাথে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই এখন জামিনে মুক্ত।
ঘটনার সময় মো. আবদুল্লাহসহ এপিবিএনের তিন সদস্য শামলাপুর তল্লাশিচৌকির দায়িত্বে ছিলেন। সিনহা হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার তদন্তকারী সূত্র জানায়, সিনহা হত্যা মামলার মোট ১৩ জন আসামি বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে রয়েছে। তারা হলেন, টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, এসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএন-এর তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ এবং টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াস। বৃহস্পতিবার চার দিনের রিমান্ডের সময় শেষ হবে। এর আগে তাদের প্রথম দফায় সাত দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সূত্রঃ দৈনিক নয়াদিগন্ত।