ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ২০০৪ সালের একুশ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মদদদাতা হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আসামী করে মামলার আবেদন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালতে এ আবেদন করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। মামলা গ্রহণের বিষয় এখনও শুনানি হয়নি।
তবে বিএনপির সিনিয়র আইনজীবিগন বলছেন,শুধুমাত্র অসৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়েই দীর্ঘ ১৬ বছর পর
সম্পূর্ন ভিত্তিহীন এই মামলাটি দায়ের করাচ্ছে অবৈধ হাসিনা সরকার।
মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে খালেদা জিয়াকে আসামি করে একটি মামলার আবেদন করেছি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মামলা নেয়া না নেয়ার বিষয়ে শুনানি হবে।
মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদ সদস্য শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, হাজি মো. মাহবুব আব্দুল্লাহকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় ওই সময়ের বিরোধীদলীয় নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনাকারী ও হুকুমদাতা খালেদা জিয়া। বাদীর দৃষ্টিতে এই মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে থলের বিড়াল বের হয়ে এসেছে। খালেদা জিয়া পরিকল্পনা করেছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের আগেই তারেক রহমান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুরুজ্জামান বাবর, জঙ্গি সংগঠনের প্রধান মুফতি হান্নান, ডিজিএফআই পরিচালক মেজর জেনারেল রেজাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই প্রধান ব্রিগেডিয়ার আব্দুর রহিম, পুলিশ প্রধান আশরাফুল হুদা এবং হারিছ চৌধুরী, আব্দুস সালাম পিন্টু, আলী আহসান মুজাহিদসহ আসামীরা সব প্রশাসন প্রধানদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেন। যে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কীভাবে ২১ আগস্টে ১৫ আগস্টের খুনের মতো শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সবাইকে হত্যা করে সফল হতে হবে।