ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সিলেটে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ঘটনার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমানকে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর কিছু পরেই গ্রেফতার হয় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার হয় গণধর্ষণ মামলার ৪ নং আসামি অর্জুন লস্কর।
তবে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি মামলার বাকি ৭ আসামিকে। এদিকে গতকাল রাত পর্যন্ত গণধর্ষণ মামলার ৫ নম্বর আসামি ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হাসান ও ৬ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন।
নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ফেসবুকে পোস্টও দেন এই দুই অভিযুক্ত।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে আসামি মাহফুজুর রহমান মাসুম লেখেন, এরকম জঘন্য কাজের সাথে আমি জড়িত না। যদি জড়িত প্রমাণ পান প্রকাশ্যে আমাকে মেরে ফেলবেন। একমাত্র আল্লাহর উপর বিশ্বাস আছে। আল্লাহ আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন। তবে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগে আমাকে সুইসাইডের দিকে নিয়ে যাওয়া আপনাদের বিচার আল্লাহ করবেন।
এরপর সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে পোস্ট দেন রবিউল হাসান।
তিনি লিখেন, ‘সম্মানিত সচেতন নাগরিকবৃন্দ আমি রবিউল হাসান। আমি এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। আপনারা অনেকে চেনেন, আমি কেমন মানুষ তা হয়তো অনেকে জানেন। শুক্রবার এমসি ছাত্রাবাসে গনধর্ষণের সঙ্গে, কে বা কারা আমাকে জরিয়ে অনেক অনলাইন গণমাধ্যমে নিউজ করিয়েছেন, আমি এমসি কলেজের ছাত্র, কিন্তু ওই হোস্টেলে কখনোই ছিলাম না, আমি বাসায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ করছি, আমি এই নির্মম গনধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নই, আমাদের পরিবার আছে। যদি আমি এই জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত থাকি তা হলে প্রকাশ্যে আমাকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক। আমি কোনোভাবেই এই কাজের সঙ্গে জড়িত নই। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণকারী সব নরপশুকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
ফেসবুকে সক্রিয় থাকার পরও আসামিদের কেন গ্রেফতার করা যাচ্ছে না প্রসঙ্গে শাহপরান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, আমরা তাদের গ্রেফতারে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে।