ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বাংলার সাধারনছাত্র সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। স্বাধীনতাবিরোধী ছাড়া অন্য যে কোন নারী যদি নির্যাতনের শিকার হয়, নির্যাতনকারী সে যে রাজনীতিই করুক না কেন আমরা তা সাথে সাথেই প্রতিহত করব।’
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এসব কথা বলেন।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম নুরের বিরুদ্ধে ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলেন তিনি।
একইসঙ্গে ঢাবি এলাকায় ড. কামাল হোসেন ও আসিফ নজরুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন তিনি।
সনজিত বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চলবেনা। সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলতে পারবে না। রাজনীতি করতে চাইলে আমাদেরকে মোকাবেলা করে রাজনীতি করতে হবে। যারা তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করবে তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। পাগল কামাল এবং তথাকথিত শিক্ষক আসিফ নজরুল, সাংবাদিকসহ মানসিক বিকারগস্ত সবাইকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর নিজেকে ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচানোর জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিকল্পনামাফিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সনজিতের।
তিনি বলেন, ‘যখনই বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করেন তখনই ধর্ষণের মেগা সিরিয়াল বাস্তবায়ন করে একদল লোক। যেখানে একটি ধর্ষণের বিচার হবে সেখানে পরপর এতগুলো ধর্ষণ কিভাবে হয়? আমার ধারণা নুরুল হক নুর নিজেকে বাঁচানোর জন্য পরিকল্পনামাফিক বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে দায়ী করতে চায়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনকারীদের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের এবং সিলেট এমসি কলেজ, খাগড়াছড়ি ও সাভারে ধর্ষণের সাথে জড়িত সকলের গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে আলাদা ট্রাইবুনাল গঠন করার দাবি দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।