ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট উপাদান দিয়ে নেতিবাচকভাবে মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে উপস্থাপনের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার দ্বিতীয় সিনিয়র সহকারি জজ মোহাম্মদ আসিকুজ্জামানের আদালতে মামলার গ্রহণের বিষয় শুনানি হয়। মামলা গ্রহণের মতো কোনো উপাদান না থাকায় আদালত তা খারিজ করে দেন।
আদালতের পেশকার জাকির হোসেন শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার ঢাকার দ্বিতীয় সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলাটি করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার আবু সালেহ। মামলার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানিরর জন্য এদিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অন্য বিবাদিরা হলেন, অভিনেতা সাজু খাদেম, নাট্যকার মান্নান হীরা, নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আরটিভির চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার দায়মুক্তির প্রতিবাদে সম্প্রতি নাটক ‘ইনডেমনিটি’ দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সম্প্রচার হয়। এতে ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের দোসরদের ক্ষমতা ভাগাভাগি এবং পর্দার আড়ালের ঘটনাও তুলে ধরা হয়।উল্লেখ্য অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে ৭৫এর ১৫ই আগস্টের হত্যাকান্ডের পর গঠিত মোশতাক মন্ত্রীসভার সকল সদস্য ছিলো আওয়ামী লীগের নেতা গন এমনকি শেখ মুজিব নিযুক্ত সেনা,নৌ ,বিমানবাহিনী,বিডিআর এবং জাতীয় রক্ষী বাহিনী প্রধানগন সকলেই মোশতাক সরকারের প্রতি পূর্ন আনুগত্য পোষন করেছিল। এদের অনেকই এখনও শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন গুরুত্বপূর্ন পদে আসিন রয়েছেন।অথচ এদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ বরাবরই নিশ্চুপ থেকে,অহেতুক ভাবে জিয়াউর রহমানের উপর সকল দোষ চাপানোর মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদস্বরূপ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নিজস্ব অর্থায়নে মঞ্চ নাটকটি নির্মাণ করা হয়। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেন মান্নান হীরা।
৪৩ মিনিটের নাটকটি উপস্থাপনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন সাজু খাদেম, ফজলুর রহমান বাবু ও চিত্রনায়ক রিয়াজসহ অনেকে